রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে সফুরা বেগম (৫০) নামে এক নারী আকস্মিকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন। গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে হাঁটার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হলেও এখন পর্যন্ত তিনি বাসায় ফিরেননি।
নিখোঁজ সফুরা বেগম নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার মো. জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী ও ৪ সন্তানের জননী। তিনি রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকায় তার বড় ছেলের সঙ্গে বসবাস করতেন। ওই বাসা থেকে গত ১৮ নভেম্বর সকালে বের হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন এই নারী।
এদিকে মাকে হারিয়ে পাগলপ্রায় তার দুই ছেলে রাজধানীর বিভিন্ন থানা, হাসপাতাল ও আত্মীয়স্বজনের বাসাবাড়িতে খোঁজ নিয়েছেন। কোথাও না পেয়ে মায়ের সন্ধান চেয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ সফুরা বেগমের স্বামী জাহাঙ্গীর আলম গুলিস্তানের একটি বাসার কেয়ারটেকার। আর সফুরা বেগম কল্যাণপুরে বড় ছেলের বাসায় থেকে তার সন্তানদের দেখাশোনা করতেন। নাতিরা স্কুলে গেলে প্রায়ই হাঁটাসহ নানা প্রয়োজনে বাসার বাইরে বের হতেন এবং সময় মত চলেও আসতেন। সেদিন সকালেও অন্যান্যদিনের মতো ছেলের বাসা থেকে হাঁটতে বের হয়েছিলেন। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে রাত পার হয়ে গেলেও আর সে ফিরে আসেনি।
সফুরা বেগমের ছোট ছেলে জাকির হোসেন মাসুদ জানান, আমি পেশায় একজন রঙ মিস্ত্রি। ভাইয়ের সঙ্গে না থাকলেও একই এলাকার একটি মেসে থাকি। আমরা এখানে বহুদিন ধরে আছি। আমার মা শারীরিকভাবে সুস্থ একজন মানুষ। সে পথ হারাবে বলে আমাদের কখনো মনে হয়নি।
তিনি আরও জানান, সেদিনের পর বিভিন্ন হাসপাতাল, থানা থেকে শুরু করে পরিচিত লোকজন, আত্মীয়-স্বজন, এমন কোনো জায়গা নেই আমরা খোঁজ করিনি। যখন যেভাবে পারছি খোঁজার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মায়ের কোন সন্ধান পাইনি।
এদিকে মাকে হারিয়ে সফুরা বেগমের বড় ছেলে মো. জাহিদ হাসান মাসুম (৩৪) মায়ের সন্ধান চেয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডি নং- ২০০০।
যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, হারানোর সময় তার মায়ের পড়নে ছিল কমলা কালারের ছাপা শাড়ি, তার উচ্চতা ৪ ফুট ৪ ইঞ্চি, মুখমণ্ডল গোলাকার, গায়ের রং শ্যামলা।
যদি কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি তার সন্ধান পান তাহলে ০১৫৫৭৩৯১৫০২ অথবা ০১৬২৬৬৫০২০৮ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এবি