বন্যা দুর্গত ক্ষতিগ্রস্ত জেলা নোয়াখালীর অসহায় ছিন্নমূল মানুষের শীত নিবারণের কথা ভেবে শীত মৌসুমের শুরুতেই মানুষের জন্য মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিল এনজিও সংস্থা 'আশা'।
এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের নিকট শীতার্ত মানুষের জন্য ৪ শত শীতবস্ত্র কম্বল হস্তান্তর করলো ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান আশা'র নোয়াখালী শাখা।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে জেলা প্রশাসক মো. খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদের নিকট এই শীতবস্ত্র কম্বলগুলো হস্তান্তর করেন আশা'র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অত্যন্ত আনন্দের সাথে জেলা প্রশাসক মো. খন্দকার ইস্তিয়াক আহমেদ কম্বল গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, এই মৌসুমে শীতের শুরুতেই প্রথমবারের মতো কম্বল হস্তান্তর করলো 'আশা'। আমি তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। তাদের এই উদ্যোগের কারণে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবে। আমি চাই সাধারণ মানুষের সাহায্যে মানবিক কার্যক্রম গুলিতে সকলেই এগিয়ে আসুক।
প্রসঙ্গত: নোয়াখালীতে স্মরণকালের ঐতিহাসিক বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে নোয়াখালীর মানুষের জন্য ব্যাপকভাবে সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে অনন্য অবদান রেখেছে এই এনজিও সংস্থা 'আশা'।
তারই অংশ হিসেবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ আত্মনির্ভরশীল ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান আশা'র নিজস্ব অর্থায়নে সারা দেশের দরিদ্র সুবিধা বঞ্চিত অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে নোয়াখালী জেলাতেও কম্বল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করলো 'আশা'।
আশা'র এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার (কুমিল্লা) জিয়াউল হাসান খন্দকার জানান, সারা দেশব্যাপী আমাদের এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের শীতবস্ত্র ৪ শত কম্বল হস্তান্তর করা হলো। আগামীতে আরও বেশি সহযোগিতা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে 'আশা'।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী সিনিয়র ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মো. তাজুল ইসলাম। রিজিওনাল ম্যানেজার দিবাকর চন্দ্র দে, সোনাপুর অঞ্চল। সিনিয়র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোস্তফা কামাল, নোয়াখালী সদর-০১ ব্রাঞ্চ। সিনিয়র ম্যানেজার জাকারিয়া ফেরদৌস, নোয়াখালী সদর-০২ ব্রাঞ্চ। সহকারি ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বিদ্যুৎ চন্দ্র দাস, নোয়াখালী সদর-০১ ব্রাঞ্চ প্রমুখ।
এআই