নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতার খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
নোয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চল শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থান চর এলাহী ইউনিয়নের হাজারো নারী পুরুষ রবিবার (২৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী জজ আদালতের সামনের সড়কে ও সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীরা ঘন্টা ব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হোসেন মেম্বার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের মাস্টার, চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা মাস্টার, নিহত আবদুল মতিন তোতার ছেলে চরএলাহী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ইসমাইল তোতা ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সবুজ তোতা।
বক্তারা বলেন, আবদুল মতিন তোতা চেয়ারম্যান- দুর্দিনে দুঃসময়ে চরএলাহী ইউনিয়নে বিএনপির নেতাকর্মিদের সংগঠিত করে রাখেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী ফ্যাসিবাদের দোসররা তাকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১৩জন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। একজন আসামিকে নিহতের স্বজনেরা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এখন পর্যন্ত পুলিশি প্রচেষ্টায় এই মামলার একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। উল্টো মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাককে বাঁচাতে পুলিশ অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মামলার ১৭জন আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উল্টো আসামিদের ইন্ধনে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে তোতার পরিবারের সদস্যদের একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সুলতান অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাতে চরএলাহী বাজারে একদল অস্ত্রধারী আওয়ামী সন্ত্রাসী ও তাদের দোসররা বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ঘটনার চারদিন পর ৩০ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এআই