সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ‘চূড়ান্ত ডাক’ কর্মসূচির ডাকে সাড়া দিয়ে রাজধানী ইসলামাবাদে যাচ্ছেন তার হাজার হাজার সমর্থক। ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের ফেসবুক পেজে সমর্থকদের দলে দলে রাজধানীর দিকে আসার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে এই বহরকে আটকানোর জন্য ইসলামাবাদে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। রাজধানীর দিকে আসা বিভিন্ন সড়কে কনটেইনার দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে।
পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, দেশের প্রায় সব জায়গায় হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইসলামাবাদে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা।
গত ১৩ নভেম্বর ইমরান খান ‘চূড়ান্ত ডাক’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ওইদিন তিনি সমর্থকদের ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদে জড়ো হয়ে সংবিধানের ২৬ তম সংশোধনীর বিরুদ্ধে, সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে এবং জনগণের ম্যান্ডেট ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানান।
এরমধ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানের এই কর্মসূচিকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেছে এবং জানমালের সুরক্ষা নিশ্চিত করে রাজধানীতে আইন ও শাসন অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। কাল সোমবার পাকিস্তানে আসবেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। তার এই সফরে যেন কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে সেটি নিশ্চিতে এমন নির্দেশ দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, খাইবান পাখতুনখাওয়া থেকে পিটিআইয়ের বহর সকাল সকাল রওনা দেয়। তবে তাদের আটকাতে জিটি রোড এবং অ্যাটকের হাসনাবদালে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পিটিআইয়ের এই কর্মসূচিকে ঘিরে ইসলামাবাদে গত সপ্তাহে টানা দুই মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেই এখন ইসলামাবাদের দিকে যাচ্ছেন ইমরানের সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত সেখানে কী ঘটে এ নিয়ে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এছাড়া সেখানকার বড় সড়ক ও দোকানপাট বন্ধ আছে।
মোহাম্মদ আসিফ নামের ইসলামাদের এক বাসিন্দা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “এই ধরনের টানা বিক্ষোভ অর্থনীতির ক্ষতি করছে, দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। আমরা চাই রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা একসঙ্গে বসে সমস্যাগুলো সমাধান করুক।”