মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এখন অসুস্থ রোগীদের ভরসার স্থান। আশেপাশের জেলাসহ প্রতিদিন এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে প্রায় ৩-৪ হাজার রোগী। আর সেই সব রোগীদের সঠিক চিকিৎসা সেবা নির্বিঘ্নে যেন পায় তার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন হাসপাতালের সহ-পরিচালক ডা সৌমেন চৌধুরী।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তাকে হাসপাতালের বহিঃ বিভাগ ও আন্ত বিভাগে পরিদর্শন করতে দেখা যায়। এ সময় তিনি রোগীদের খোঁজ-খবর নেন এবং চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলেন।
সহ-পরিচালক ডা. সৌমেন চৌধুরী বলেন, আমি এখানে ২০২০ সাল থেকে এই হাসপাতালে আছি। আমি সব সময় রোগীদের প্রাধান্য দিয়ে থাকি। কারণ অসুস্থ মানুষের সেবা করাই ঈশ্বরের সেবা করা। তাই আমি নিজে প্রতিদিন হাসপাতালের ভিন্ন ওয়ার্ডে এবং বহিঃবিভাগে আমাদের ডাক্তার দের রুমে রুমে গিয়ে আগত রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। কোন সমস্যা পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিচ্ছি। হাসপাতাল কোন রোগী যেন হয়রানি না হয়। সে লক্ষ্যে কাজ করে চলছি। বর্তমানে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি প্রবেশ নিষেধ। সেই সাথে দালাল মুক্ত আমাদের হাসপাতাল।
আমেনা বেগম নামে এক রোগী বলেন, আমি টাংগাইল থেকে এখানে আসছি। সকালে এসে লাইন ধরে টিকেট কেটে ডাক্তার দেখালাম। ডাক্তার আমার সমস্যা ভাল মত শুনছে। তার পর একটি পরিক্ষা দিয়েছিল তা হাসপাতাল থেকে করে এখন দেখালাম আর ঔষধ লিখে দিল। সেবা পেয়ে আমি অনেক খুশি। সেবার মান আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে।
মনির নামে এক জন বলেন, এখানে এসে ভাল লাগে তবে রোগী বেশি হওয়ায়, লাইনে ধরে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। তবে সিস্টেমটা অনেক সুন্দর কোন বিশৃঙ্খলা নেই। সব জায়গায় আনসার সদস্য থাকায় বহিরাগতরা ডুকে রোগীদের হয়রানি করতে পারে না।
উল্লেখ, ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরে কয়েকটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নাম পরিবর্তন হয়। তারই একটি মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। আগে এটি কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নামে ছিল।
সহ-পরিচালক ডা. সৌমেন চৌধুরী সঙ্গে আরও ছিলেন- ওয়াড মাস্টার সূর্য খান সাদি, সহ-পরিচালক এর সহকারী আরিফ হোসেন এবং আনসার সদস্য বৃন্দ।
এআই