আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) উদাস থাকার দিবস। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি মানুষেরই বৈশিষ্ট্য স্বতন্ত্র। শুধু তাই নয় প্রত্যেকেরই আচরণগত স্বভাবও আলাদা। চিন্তা-ভাবনা, কাজ কর্মে এক একজন এক এক ধরনের হয়ে থাকে। কেউ কেউ যে কোনো বিষয়ে খুব বেশি সিরিয়াস, আবার কেউ কেউ থাকেন সবকিছুতেই তাদের গা-ছাড়া ভাব। কেউ খুব তুচ্ছ বিষয়েই মুগ্ধ হন, কেউ কেউ বড় কোনো ঘটনাতেও থাকেন প্রতিক্রিয়াহীন।
কেউ কেউ খুব তুচ্ছ বিষয়েই মুগ্ধ হওয়ার আশ্চর্য ক্ষমতা নিয়ে জন্মান। শুক্লপক্ষের পূর্ণিমার চাঁদ, নদীতীরের ঢেউখেলানো কাশফুল, কিংবা পথের ধারে অযত্নে বেড়ে ওঠা নাম–না জানা ফুল দেখে অবাক বিষ্ময়ে ঝলমল করে ওঠেন। আবার কেউ কেউ আছেন, কিছুতেই যাঁদের কিছু যায় আসে না। জগতের সব মূর্ত-বিমূর্ত বিষয়ের প্রতিই তাঁদের অপার উদাসীনতা। তাজমহলের মতো বিপুল সৌন্দর্যের সামনে দাঁড়িয়েও নির্বিকার গলায় বলে ওঠেন—এ আর এমন কী! আজ রবিবার নাটকের কঙ্কা-তিতলির মুখে পূর্ণিমার ইয়া বড় চাঁদের বিবরণ শুনে আনিস যেমন বলেছিলেন, ‘পূর্ণিমা রাতে চাঁদ তো উঠবেই, এটাই স্বাভাবিক; নতুন কিছু তো নয়!’
সবকিছুতেই উদাসীনতা যেমন খুব গ্রহণযোগ্য নয়, তেমন মাঝে মাঝে কিছুটা উদাসীনতা দরকারও। অন্তত, যান্ত্রিক জীবনের চাপ থেকে মুক্ত থাকতে কিছুটা উদাসীনতা মাঝে মাঝে দরকার। আর তাই আপনি খুব সিরিয়াস হোন কিংবা উদাসীন হোন; আজকের দিনটা একটু বিশেষ উদাসীনতার সঙ্গে কাটাতেই পারেন। গেয়ে উঠতে পারেন, কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে! কেননা, আজকের দিনটা যে উদাসীনতার। হ্যাঁ, যদিওআর চাপমুক্ত থেকে একটা দিন নিজের মতো কাটাতে ক্ষতি কী!
যদিও প্রথমে দিবসটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিত হয়। তবে, বিশ্বায়নের এই যুগে যে কেনো দিবস, যে কোনো স্থানে পালন করতে তো বাধা নেই। তাই আজকে একটু বিশেষ উদাসীনতার সঙ্গে কাটাতেই পারেন।
জানা গেছে, টমাস ও রুথ রয় নামের এক মার্কিন দম্পতির হাত ধরে দিবসটি পালন শুরু হয়। উদাসীনতাকে উদযাপনের জন্যই মূলত এমন দিনের প্রবর্তন করেন তারা।
এবি