লক্ষ্মীপুরে বিরোধপূর্ণ জমিতে দোকানঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে দু'পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এক পক্ষ একটি মামলা দায়ের করেছে প্রতিপক্ষের লোকজনকে আসামি করে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর-আগে, মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের (১নং ওয়ার্ড) ছোটপোল সংলগ্ন এলাকায় দুই পক্ষের লোকজন দোকানঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়।
জানা গেছে, নুরুল ইসলামের ছেলে জাকির হোসেন ২০২০ সালে স্থানীয় ইসমাইল হোসেনের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি খরিদ করেন। সেই জমিতে দোকানঘর নির্মান করতে গেলে পাশ্ববর্তী বাড়ির শামছুল হক মাঝির ছেলে মনির, তোফায়েল, জহির, কালাম বাধা প্রদান করে এবং জমিটি তাদের বলে দাবি করে।
পরবর্তীতে স্থানীয় ভাবে বৈঠক হলেও শামছুল হক মাঝির ছেলেরা তাদের জমি হিসেবে প্রমান করতে পারেনি। এতে (২৬ নভেম্বর) নুরুল ছেলে দোকানঘর নির্মান কাজ শুরু করে। এসময় শামছুল হকের ছেলেরা ও নাতি বেলাল, হেলাল, রুবেল, ফরহাদ এসে কাজে বাঁধা দেয় এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। যার ফলে দু'পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়।
মামলার বাদি ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ৪ বছর পূর্বে স্থানীয় সালাহ উদ্দিনের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি খরিদ করি। গাছপালা রোপন করি সেই জমিতে। দোকানঘর নির্মাণ করতে গেলে চরভূতা গ্রামের মনির আহম্মদের ছেলে বেলাল বাঁধা দেয় এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে। চাঁদা না দেওয়ার বেলাল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে এতে আমি ও আমার ছেলেসহ ৫/৬ জন আহত হই। হামলার শিকার হয়ে আমরা একটি মামলা দায়ের করি।
এদিকে অভিযুক্ত মনির আহম্মদ ও তার ছেলে বেলাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বিরোধপূর্ণ জমিটি তাদের। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে তারা ভোগ দখলে ছিল। হঠাৎ ৪ বছর পূর্বে জাকির হোসেন স্থানীয় সালাহউদ্দিনের কাছ থেকে জমি খরিদ করেন। কিন্তু দখল করতেছে তাদের জমি। দুইটি জমির আলাদা দাগ রয়েছে। তারা তাদের খরিদকৃত জমিতে দোকানঘর না করে আমাদের জমিতে জোরপূর্বক দোকানঘর নির্মাণ করতেছে। তাই আমরা বাঁধা দিতে গেলে উভয় পক্ষের মাঝে মারামারি হয়। এতে আমাদের ৫/৬ জন লোক আহত হয়।
ওসি আরও বলেন, সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এআই