মহান বিজয় দিবস ঘিরে নীলফামারীতে জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম পড়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাড়া-মহল্লা ও শহরের অলি-গলিতে ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন মৌসুমি পতাকা বিক্রেতা।
বিজয়ের চেতনায় এ মাসের শুরু থেকেই জাতীয় পতাকার ব্যবহার বেড়ে যায়। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জন্ম হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের। জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সেই দিনটিকে কেন্দ্র করে চারদিকে লাল-সবুজের ফেরিওয়ালাদের কাঁধে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে জাতীয় পতাকা।
মৌসুমি পতাকা বিক্রেতারা জানান, এই দিবসের আগমনে মানুষ জাতীয় পতাকা কেনায় আগ্রহী হয়ে ওঠে, বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস, এবং সাধারণ মানুষ তাদের বাড়ি ও গাড়িতে পতাকা উত্তোলনের জন্য কিনে থাকেন। আকারভেদে ১০, ২০ এমনকি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে একেকটি পতাকা। কাগজের ছোট পতাকাসহ বিভিন্ন সাইজের পতাকাও বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে।
পতাকা বিক্রিতা মো. মনির হোসেন বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ১১ বছর ধরে বিজয়ের এই মাসে জেলার বিভিন্ন জায়গায় পতাকা বিক্রি করে আসছি। বছরের অন্য সময়ে বাচ্চাদের নতুন নতুন বই ও বিভিন্ন ধরনের ক্যালেন্ডার বিক্রি করি। এইটা বিজয়ের মাস, এ মাসে সবাই পতাকা কেনে, ব্যবসাও ভালো হয়। তাই এ মাসে পতাকা বিক্রি করি।’
আরও এক পতাকা বিক্রিতা মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘এবছর বিশেষ করে শিশু-কিশোর ও তরুণদের মধ্যে পতাকা কেনার আগ্রহ বেশি। পতাকার দামের ক্ষেত্রে ছোট পতাকা ১০ থেকে ২০ টাকা এবং বড় পতাকা আকারভেদে ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।’
নীলফামারীর বড় মাঠে ঘুরতে আসা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা জাতির গৌরব ও ঐতিহ্যের প্রতীক। মাঠে ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে আসছি। এখানে পতাকা দেখে ছেলের আবদার পতাকা কিনে দিতে হবে, তাই ছেলেকে ৩৫০ টাকা দিয়ে একটি পতাকা কিনে দিলাম। মহান বিজয় দিবসের এই দিনটিকে উদযাপন করতে উৎসাহের সঙ্গে অনেকেই পতাকা কিনছেন।’
এআই