করীম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হয়েছে সব বৈষম্য দূর করার জন্য। সব ক্ষেত্রে সমতা রক্ষার জন্য। কিন্তু যেই বৈষম্যের জন্য আন্দোলন হয়েছে সে বৈষম্য দূর হয়নি। ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত যারাই ক্ষমতায় ছিলো তারা বৈষম্য দূর করতে পারেনি। ৫ আগস্টে জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। যেটার জন্য আন্দোলন করেছি, সেই বৈষম্য দূর হয়নি। ৫ আগস্টের পর আবারও চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। আবারও সকল অন্যায় অপরাধ দেদারসে চলছে।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় কুমিল্লা নগরীর বিশ্বরোড জামেয়া কারিমিয়া কমপ্লেক্স ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়জুল করীম বলেন, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রেখে এগিয়ে যেতে হবে। খুনিদের দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। যাতে স্বৈরাচারী গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৬ বছরের শাসনামলে গুম-খুন, মামলা ও নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও নির্যাতিত দেশের ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। বিজয়ের আনন্দে শহিদ ও আহতদের ভুলে গেলে চলবে না। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে যারা জীবন দিয়েছে, তাদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ না পাওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালাতে হবে। দেশের চিকিৎসাসেবার উন্নতি ও সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে। যেন বিদেশে চিকিৎসার জন্য না যায়।’
হুসাইন আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুনতাছির আহমাদ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ তৈয়্যব, সেক্রেটারী মাওলানা নূর হোসাইন, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা মীর হুসাইন ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তাজুল ইসলাম, ইসলামি যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলা উত্তরের সাধারন সম্পাদক মুফতি রাশেদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা উত্তরের সাবেক সভাপতি মাওলানা মাহদী হাসান প্রমুখ।
সম্মেলন শেষে প্রধান অতিথি হুসাইন আহমাদ সভাপতি ও মামুনুর রশীদকে সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্বহাল রেখে আবারও ২০২৫ সেশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করে।
এইচএ