এইমাত্র
  • লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া
  • বিমানবন্দরে খালেদা জিয়া, রাতেই যাচ্ছেন লন্ডন
  • ফেলানী হত্যার ১৪ বছর, বিচার দেখে মরতে চান বাবা-মা
  • নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন যারা
  • এবার সিলেট যাচ্ছেন আজহারী
  • সাত বছর পর দেখা হবে মা-ছেলের
  • শেখ হাসিনাসহ ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল
  • বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া
  • ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
  • আজ বুধবার, ২৪ পৌষ, ১৪৩১ | ৮ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সমালোচিত নেতা গ্রেপ্তার

    নয়ন দাস, শরীয়তপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
    নয়ন দাস, শরীয়তপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১০ পিএম

    নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সমালোচিত নেতা গ্রেপ্তার

    নয়ন দাস, শরীয়তপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১০ পিএম

    শরীয়তপুরে গণ-অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন। এর আগে গতকাল রবিবার রাতে চর পালং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তার সোহাগ বেপারী (৩০) শরীয়তপুর কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি। কলেজের সভাপতি পদে থাকা অবস্থায় কলেজের এক প্রভাষককে মারধর করে দেশজুড়ে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি।

    মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বিজয় মিছিল নিয়ে ফিরছিলেন শরীয়তপুর গণ-অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। এসময় তারা শহরের কোর্ট এলাকায় আসলে তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে গণ-অধিকার পরিষদের আব্দুর রহিমসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনায় গতকাল রবিবার গণ-অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব শাহজালাল সাজু বাদী হয়ে সোহাগ বেপারীসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। পরে এ ঘটনায় গতকাল রাতে সোহাগ বেপারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, ২০২১ সালে মার্চ মাসে শরীয়তপুর সরকারি কলেজের একটি খাবারের আয়োজনে ছাত্রলীগ নেতাদের দাওয়াত না দেওয়ায় বাংলা বিভাগের প্রভাষক বি এম সোহেলকে মারধর করেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ বেপারী। পরে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি করে কলেজ শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা ছাত্রলীগের নেতারা। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করার ৩ দিন পর মামলা নেয় পুলিশ। যদিও পরবর্তীতে স্থানীয় সংসদ সদস্যর হস্তক্ষেপে মামলাটি উঠিয়ে নেওয়া হয়।

    মামলার বাদী ও গণ-অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব শাহজালাল সাজু বলেন, বিজয় মিছিলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের নেতাও কর্মীদের বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত করে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা। এ ঘটনায় ন্যাক্কারজনক হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

    ঘটনার ৪ বছর পরে কেন মামলা করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তখন ফ্যাসিবাদের আমল ছিলো, তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব হয়নি। মামলা করতে গেলে উল্টো আমাদের গ্রেপ্তার করা হতো। এখন আইনের সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে। আশা করছি আমরা ন্যায় বিচার পাবো।

    পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, গণ অধিকার পরিষদের এক নেতার মামলায় এজাহার নামীয় আসামী সোহাগ বেপারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…