গত ৭ মাস আগে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি হয়েছিলো ১৩ বছর বয়সি আনিশা আক্তার। এরই মধ্যে গৌরব অর্জন করেছে কুরআনের হাফেজ হওয়ার। তার এই কৃতিত্বে সংবর্ধনা দিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
আনিশা পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট ঘটবর তা’লিমুল কোরআন বালিকা মাদরাসার শিক্ষার্থী। সে চাকলাহাট ইউনিয়নের সর্দারপাড়া গ্রামের আলিউর রহমানের মেয়ে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে তাকে সংবর্ধনা ও আনুষ্ঠানিক বিদায় দেয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। সুসজ্জিত প্রাইভেটকারে বসিয়ে মোটরসাইকেল বহরের মাধ্যমে তাকে রাজকীয় সম্মানে তাকে পৌঁছে দেয়া হয় বাড়িতে। ফুলেল শুভেচ্ছা জানান স্থানীয় মুসুল্লি ও এলাকাবাসী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাদরাসাটির সভাপতি তোফায়েল প্রধান, মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ মো. মনিরুল ইসলাম মোল্লা, সদর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আবু সাইদ, স্থানীয় ছাত্রশিবির নেতা মুন্না ইসলাম প্রমূখ।
মেয়ের কৃতিত্বে আনন্দিত বাবা আলিউর রহমান। বলেন, মেয়েকে কুরআনের হাফেজ বানানোর আশা ছিলো। আল্লাহ আমার আশা পূরণ করেছেন। আমি চাই আমার মেয়ে একজন পূর্ণ আলেম হোক।
মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ মো. মনিরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, মাদ্রাসাটি ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটাই মাদ্রাসার প্রথম হাফেজ। আমাদের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে সবার দোয়া চাই।
কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান বলেন, মাত্র ৭ মাসে পুরো কুরআন মুখস্ত করা কেবল প্রখর মেধাবী শিক্ষার্থীর পক্ষেই সম্ভব। এজন্য মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের অবদান অনস্বীকার্য। আমি মনে করি, খুব অল্প সময়ের মধ্যে মাদ্রাটি এই সাফল্য দেখিয়েছে। মাদ্রাসার সার্বিক বিষয়ে আমার সু-দৃষ্টি সবসময় থাকবে।
এমআর