এইমাত্র
  • পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন টিউলিপ সিদ্দিক
  • সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছেন ড. ইউনূস
  • পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক
  • ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সৌদির
  • জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক বৃহস্পতিবার
  • জেল থেকে কী বলেছেন লুৎফুজ্জামান বাবর, জানালেন আইনজীবী
  • রেমিট্যান্স পাঠানোর তালিকায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
  • এলপিজির নতুন মূল্য নির্ধারণ, কার্যকর সন্ধ্যা থেকে
  • প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে: ইসি সচিব
  • লস অ্যাঞ্জেলেসজুড়ে ছড়ানো হচ্ছে ‘পিঙ্ক পাউডার’
  • আজ বুধবার, ২ মাঘ, ১৪৩১ | ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    শুকুর আলীর সাথে বেজির বন্ধুত্ব, এলাকায় চাঞ্চল্য

    সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৭ পিএম
    সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৭ পিএম

    শুকুর আলীর সাথে বেজির বন্ধুত্ব, এলাকায় চাঞ্চল্য

    সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৭ পিএম

    সভ্যতার অগ্রগতিতে যখন বন্য প্রাণীদের অস্তিত্ব সংকট চলছে, তখন বেজির সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব সত্যিই বিস্ময়কর ঘটনা। দেখে সিনেমার চিত্রনাট্য মনে হলেও বাস্তবে সত্যি। কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভার রাজারাম ক্ষেত্রী গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে দুলাল মিয়া জঙ্গল থেকে একটি বেজির বাচ্চা ধরে নিয়ে আসে বাড়িতে।

    এরপর তার বাবা শুকুর আলী বেজির বাচ্চাটিকে খাঁচায় রেখে খাওয়ান। আদর করে নাম রেখেছেন রুপালী। শুকুর আলী উলিপুর-রাজারহাট সড়কের নারিকেল বাড়ি স›ন্যাসী তলায় চা-বিস্কুট দোকান করেন। দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই তিনি খাঁচায় করে বেজিটিকে দোকানে নিয়ে এসে ছেড়ে দেন। এরপর রুপালী নামে ডাক দিলে দৌড়ে চলে আসে। দুধ, কলা, সমুচা, চিপস, বিস্কুটসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার খেয়ে আবার দোকান এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘুরে বেড়ান।

    খিদে পেলে দোকানে এসে পিছনে পিছনে ঘুরেন এবং বিভিন্ন জায়গায় লাফালাফি শুরু করে দেয়। সন্ধ্যা হলে খাঁচায় তুলে বাড়িতে নিয়ে যান। কিছুদিন পর খাঁচা ব্যবহার না করে বেজিটিকে শুকুর আলী বাড়ি থেকে হেঁটে দোকানে নিয়ে আসে এবং দোকান থেকে হেঁটে বাড়িতে নিয়ে যান। এখন বেজিটি বাড়িতে যাওয়া আসার ভয়ে থাকে কুকুরের আক্রমন। দিন যতই যাচ্ছে বেজি আর শুকুর আলীর বন্ধুত্ব ততই বাড়ছে। শুকুর আলী স্যাম্পু দিয়ে সপ্তাহে একদিন বেজিটিকে গোসল করে দেন। ঘটনাটি লোকমুখে জানাজানি হলে বিভিন্ন এলাকার মানুষজন বেজি আর মানুষের বন্ধুত্ব দেখার জন্য দোকানে আসেন। এরমধ্যে কেউ কেউ বিস্কুট, কলা, সমুচাসহ বিভিন্ন খাবার খেতে দেন। বেজিটি এ পর্যন্ত কাউকে কামড়, হাঁচড়সহ কোন ক্ষতিও করেনি।

    প্রতিবেশী সবুজ মিয়া জানান, শুকুর আলী পশু পাখি প্রেমী। শুধু বেজি নয়। এর আগে তিনি জঙ্গলের ইঁদুরকে পোষ মানিয়েছিলেন। এখনো মুক্ত আকাশে ঘুরে বেড়ানো পাখিকে হাতে করে খাবার খাওয়ান। তার এগুলো দেখে আমরা আশ্চর্য।

    এ বিষয়ে শুকুর আলী সাথে কথা হলে তিনি জানান, মানুষ হয়ে মানুষের কথা শোনে না, মানে না। অথচ বনের পশু কথা শোনে, মানে। আমি মানুষকে দেখানোর জন্য বেজিটিকে ছোট থেকে পুষতেছি। নাম রেখেছি রুপালী। এখন আমার সাথে হেঁটে বাড়ি থেকে দোকান যাওয়া আসা করে। যখনই নাম ধরে ডাকি যেখানেই থাক আমার কাছে চলে আসে। বর্তমানে আমি বেজিটিকে সন্তানের মতো লালন পালন করতেছি।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…