ঘুমন্ত স্বামীর পুরষাঙ্গ কেটে ফেলায় স্ত্রী জাকিয়ার হাত কেটে ভয়ঙ্কর এক প্রতিশোধ নিলেন স্বামী ফিরোজ মিয়া। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফিরোজ মিয়াকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ এবং আহত জাকিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত ফিরোজ মিয়া টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ি গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে। তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম পাশের জিগাতলা গ্রামের জামিল হোসেনের মেয়ে।
গত রবিবার (২৬ জানুয়ারি) আশুলিয়ার গাজীরচর এলাকার সেলিম মিয়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
জানাযায়, গতবছরের ১৭ এপ্রিল পরনারীতে আসক্তির জেরে ঘুমন্ত স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ কেটে পালিয়ে যায় স্ত্রী জাকিয়া। পরে ফিরোজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তৎকালীন শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ বর্তমান টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করা হলে জাকিয়া কারাবাস করেন। তারপর জামিনে মুক্তি পেয়ে আশুলিয়ার এক পোশাক কারখানায় চাকরি নেন জাকিয়া।
এদিকে স্বামী ফিরোজ মিয়ার প্রতিশোধের আগুনের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষ করেই প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে খুঁজতে থাকে তার স্ত্রী জাকিয়াকে। পরে বান্ধবীর সাথে সখ্যতার সূত্র ধরে পুরাতন সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা করে সফল হয় ফিরোজ। বিবাহ বিচ্ছেদ না হওয়ায় আবারও গাজীরচর এলাকায় সেলিম মিয়ার বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে দাম্পত্য জীবন শুরু করে। পূর্বের ন্যায় তাদের সংসার যেমন ছিল তার আদলেই চলতে থাকে। প্রতিশোধ নিতে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে ফিরোজ মিয়া, এতদিনে জাকিয়া এটি বুঝতেই পারেনি। পরে সুযোগ বুঝে গত রবিবার জাকিয়ার ডান হাতের কব্জি পর্যন্ত কেটে নেয় ফিরোজ মিয়া এবং বাম হাতেও কেটে নেয়ার জন্য জোরালোভাবে আঘাত করা হয়। এ সময় জাকিয়ার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে জাকিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং ফিরোজ মিয়াকে পুলিশে সোপর্দ করে। খবর পেয়ে জাকিয়ার বাবা জামিল বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করলে পুলিশ ফিরােজকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, ভিকটিমের বাবার করা মামলার ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করি। মামলাটি এখন তদন্তাধীন আছে।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল ভর্তি আছেন। তার অবস্থা মোটামুটি ভালোর দিকে।