“কি যে ঠান্ডা বাহে, এমন ঠান্ডা আর কয় দিন থাইকপে বাহে? আর যে সইয্য কইরবের পাং না! সকাল সকাল এই ঠান্ডাত কাজত আছং বাহে। ছেং ছেংয়া পানিতে মেনে ঠান্ডার মধ্যে বোরো রোপণে কাজ করছি।” কথা গুলো বলছিলেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্বফুলমতি এলাকার দিন মজুর নজরুল ইসলাম।
নজরুল ইসলামের মতো মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে উত্তরের সীমান্তঘেঁষা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সাথে বইছে উত্তরের হিমেল বাতাস। ফলে চরম দূর্ভোগে রয়েছে উপজেলার ছিন্নমূল, খেটে-খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল বুধবার ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গত মঙ্গলবার (পরশু দিন) ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষাফেরুষা এলাকার কৃষি শ্রমিক কাসেম আলী (৫৮) জানান, প্রতি বছরেই বোরো রোপণের কাজ করি। এ বার খুবই ঠান্ডা! ঠান্ডা খ্যায়া সর্দি-কাশ শুরু হইছে! মন চায় না ঠান্ডার মধ্যে বোরো রোপণের কাম (কাজ) করি। তবে জীবন জীবিকার তাগিদে এই ঠান্ডার মধ্যেও অন্য কাজ করছি।
একই ইউনিয়নের গজেরকুটি এলাকায় দিন মজুর কিশোব চন্দ্র রায় জানান, যতই ঠান্ডা হোক আমাদের মতো দিন মজুর ঘরে বসে থাকার কপাল নেই। কাজ করতেই হবে। কাজ না করলে সংসার চলবে কি করে?
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, তাপমাত্রা নিম্নগামী হচ্ছে। তাপমাত্রা নিম্নগামী হয়ে তিনদিনে প্রায় দেড় ডিগ্রি কমেছে। তবে এখন পর্যন্ত শৈত্য প্রবাহের কোন পূর্বাভাস নেই আমাদের কাছে। পেলে জানানো হবে।
আরইউ