অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্তে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অভিযান চালিয়েছে দুদক। এসময় বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে দুদক এর প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ এর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
দুদকের ৩ সদস্যের টিম হাসপাতালের স্টোর রুমসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে। এ সময় বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান তারা।
এ সময় রোগীদের ব্যবহৃত কম্বল নিম্ন মানের এবং রোগীদের দেওয়া খাবারের মান ও মাছের ওজন কম পান। বিভিন্ন ওয়াড অপরিচ্ছন্ন দেখতে পান। হাসপাতালের সেবার মানসহ বিভিন্ন ক্রয় সংক্রান্ত অনিয়মের সত্যতা পান তাঁরা। এরপর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সৌমেন চৌধুরী সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরেন।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ বলেন, একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া যায়। তারই তদন্তে অভিযান চালানো হয়েছে। এই হাসপাতালে কেনাকাটা নিয়ে বড় ধরনের অনিয়ম দেখা গেছে। অতি নিম্ন মানের কম্বল ২৪০০ টাকা করে ক্রয় দেখানো হয়েছে যা বাজারে ৩০০-৫০০ টাকার বেশি না। রোগী দের খাবারের একটুকরো মাছের ওজন থাকার কথা ২৩০ গ্রাম আছে গড়ে মাত্র ১৫৫ গ্রাম। যা প্রতারণার সামিল। এছাড়াও আমারা আরও অনেক অনিয়ম পেয়েছি। তার বিস্তারিত জানতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কিছু তথ্য চেয়েছি যা আগামী সোমবারের মধ্যে আমাদের কাছে দিতে বলা হয়েছে। সেগুলো দেখে আমরা আমাদের পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সৌমেন চৌধুরী বলেন, দুদকের কর্মকর্তারা হাসপাতালের অনিয়ম ও দুনীতি বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করলেন। আমাদের কাছে কিছু তথ্য চেয়ে তা সোমবার এর মধ্যে জমা দিতে বলেছে।
এআই