বরগুনার তালতলী উপজেলা শহরের খোট্রার চর-মাছ বাজার এলাকার সেতুটি ভেঙে খালে পড়ে গেছে। এতে ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। দ্রুত বিকল্প সেতু নির্মাণ না করলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) ভোররাতে সেতুটি ভেঙে পড়ে গেছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা যায়, উপজেলা শহরের খোট্রার চর-মাছ বাজার এলাকার সেতুটি প্রায় ৩০ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্মাণ করেন। সেতুটি নির্মাণের পর থেকে সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় সেতুটি ডেবে যায় এবং বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায়। এ ছাড়া সেতুটি একদিকে হেলে পড়েছিলো। এরপর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দীর্ঘ ১৮ বছর পার করলেও সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কতৃপক্ষ। শুক্রবার ভোররাতে সেতুটি মাঝখান দিয়ে ভেঙে খালে পড়ে যায়। সেতুটি ভেঙে পড়ায় পারাপারের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার মানুষ ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। বাসিন্দাদের দাবি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেন সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ওবায়দুল কবির বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করতাম। তবে সেতুটি ভেঙে খালে পড়ে যাওয়ায় কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে। যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হবে।
কলেজ শিক্ষার্থী গোলাম সরোয়ার হিরু বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে পারাপার হয়ে কলেজে যেতাম কিন্তু গতরাতে হঠাৎ সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কারণে ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হবে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই অতি দ্রুত সেতুটি পুনঃনির্মাণ করার দাবি জানাই।
ভেঙে পড়া সেতু দেখতে যান উপজেলা নিবার্হী (কর্মকর্তা ইউএনও) উম্মে সালমা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি বলেন, সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো রাতে হঠাৎ সেতুটি ভেঙে পড়ে যায়। আপাতত আমরা তাৎক্ষনিকভাবে চলাচলের জন্য বিকল্প একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হবে। অতিদ্রুত সেতু পুনঃনির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন, নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমির।
এফএস