গরু চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত গরু চোর শেখ সোহেল ওরফে সুহেল শেখের (৩২) মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার প্রত্যন্ত উপজেলার পশ্চিম খাঞ্জাপুর গ্রামের। নিহত সোহেল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ দৌলদিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন শেখের ছেলে। বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সংঘবদ্ধ একদল গরু চোর গত ২৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার পশ্চিম খাঞ্জাপুর গ্রামের জসিম চৌকিদারের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর সঙ্গবদ্ধ চোরেরা গোয়াল ঘর থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ২টি ষাড় ও ১টি গাভি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় গরুর মালিক টের পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে ২টি ষাড় বাড়ির উঠানে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় চোরেরা। পরবর্তীতে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে চোরাই গাভী খুঁজতে গিয়ে একই গ্রামের ইউনুস আকনের পান বরজের পাশ থেকে চোর সোহেলকে চোরাই গরু সহ আটক করে গণধোলাই দেয়া হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় ২৬ জানুয়ারি ভোরে চোর শেখ সোহেলকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরাত চিকিৎসক তাকে শেবাচিম হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ওইদিনই শেবাচিম হাসপাতালে তাকে (সোহেল) ভর্তি করা হয়। বুধবার ২৯ (জানুয়ারি) দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার (সোহেল) মৃত্যু হয়।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে শুক্রবার সকালে গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, গরুর মালিক জসিম চৌকিদার বাদি হয়ে শেখ সোহেলের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ চোরকে আসামি করে ২৬ জানুয়ারি সকালে গৌরনদী থানায় ্একটি চুরি মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে চোর সন্দেহে স্বামীকে মারধরের অভিযোগে সোহেলের স্ত্রী জহুরা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ শত গ্রামবাসীকে আসামি করে ২৮ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রুপান্তর করা হবে।
এফএস