এইমাত্র
  • রোহিঙ্গাদের সহায়তা কমে যাওয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ
  • চলতি বছরেই বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসবে ভারত
  • ক্ষোভে ফুঁসছে মাগুরাবাসী, ধর্ষকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো জনতা
  • উখিয়ার ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিব, কথা শুনলেন রোহিঙ্গাদের
  • রূপগঞ্জে চকলেট কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ
  • গ্রিনল্যান্ডের দখল আমাদের লাগবেই: ট্রাম্প
  • প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে : রিজভী
  • সুন্দরবনে ২৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ৫
  • মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫
  • গাজায় ফের ইসরায়েলের হামলা, ২ শিশুসহ নিহত ৪
  • আজ শুক্রবার, ৩০ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ১৪ মার্চ, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    রঙিন ফুলকপি চাষে নারী উদ্যোক্তার বাজিমাত

    কাওছার মাহমুদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম
    কাওছার মাহমুদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম

    রঙিন ফুলকপি চাষে নারী উদ্যোক্তার বাজিমাত

    কাওছার মাহমুদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম

    এই মৌসুমে ফুলকপি যখন কৃষকের গলার কাটা, গুনতে হচ্ছে লোকসান, এদিকে সখের বসে রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফল বাজিমাত করেছেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর এলাকার এক নারী উদ্যোক্তা রাবেয়া খাতুন। এখন তার মাঠ জুড়ে সবুজ পাতার মাঝে গোলাপি ও হলুদ রঙের ফুলকপি শোভা পাচ্ছে। দূর থেকে বোঝা না গেলেও কাছ থেকে কপির এমন ভিন্ন রঙ মুগ্ধ করবে।

    কালীগঞ্জ উপজেলায় সাদা রঙের কপি নিয়মিত চাষ হলেও এ বছর প্রথম রঙিন কপি চাষ হচ্ছে। খরচ কম হওয়ায় লাভ বেশি। রঙিন কপির চাহিদা রয়েছে দেশের বাজারে। দূর দূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ ছুটে আসছেন এ কপি দেখতে। কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকরা উচ্চ মূল্যের এ জাতের কপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

    রাবেয়া খাতুন আরও জানান,রঙ্গিলা হলুদ জাতের। চারা তৈরির জন্য বীজতলায় রোপণ করে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়। ২৫-৩০ দিনের মধ্য চারা লাগানোর উপযুক্ত হয়। এরপর বীজতলা থেকে চারাগুলো সংগ্রহ করে জমিতে আবাদের পর নির্দিষ্ট পরিমাণ সার, কীটনাশক ও সেচসহ সব ধরনের পরিচর্যা করতে হয়। গাছ বড় হওয়ার পর ছোট ছোট গুটি বাধতে শুরু করে। তারপর ৬৫-৭৫ দিনের মধ্য কপি বাজারে বিক্রির উপযুক্ত হয়।কালীগঞ্জে কাকিনা রুদ্রেশ্বর গ্রামের কৃষক ছামাদ মিয়া জানান, হাটে সবজি বিক্রি করে গ্রামের ভেতর দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলাম। হঠাৎ হলুদ ও গোলাপি রঙের কপি দেখা ক্ষেতের সামনে দাঁড়াই। রঙিন কপি এর আগে কখনও দেখিনি। কপি দেখে খুব ভাল লাগলো। বীজ পেলে এ জাতের কপি চাষ করবো। রঙ দেখে মানুষ ক্ষেতে ভিড় করবে।

    কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি জানান, কালীগঞ্জের মাটি কৃষির জন্য উর্বর। এখানে সব ফসল চাষ করা সম্ভব। উচ্চ মূল্যের ফসল চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। রঙিন কপির বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিক্রি শুরু হয়েছে। দাম ভাল পাচ্ছে। খরচ তুলনামূলক কম। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে রাবেয়াকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়। উপজেলায় বড় পরিসরে এ কপি চাষ করতে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…