এইমাত্র
  • খাগড়াছড়ির রামগড়ে স্কুলছাত্রী অপহরণের চেষ্টা, আটক ২
  • শাকিব খানের ছবি ছাড়া প্রেক্ষাগৃহে দর্শক আসছে না: তানহা তাসনিয়া
  • শিক্ষার্থী কম থাকায় এইচএসসির ১৩ কেন্দ্র বাতিল
  • পঞ্চগড়ে দুই ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে
  • মাদারীপুরে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে স্বামীর আত্মহত্যার অভিযোগ
  • নাবিক ও এমওডিসি নেবে নৌবাহিনী, পদ ৪০০
  • গোয়ালন্দে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৩
  • আসন্ন ঈদুল ফিতরে লম্বা ছুটি, কবে থেকে কত দিন
  • টিসিবির জন্য ২৭৩ কোটি টাকার ডাল-তেল ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
  • ঢাকায় না এসে ইতালি ফিরে গেলেন ফাহমিদুল
  • আজ মঙ্গলবার, ৪ চৈত্র, ১৪৩১ | ১৮ মার্চ, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    টাঙ্গাইলের ধর্ষককে ধরতে মেহেরপুরে পুলিশের অভিযান

    এস এম তারেক, মেহেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ১২:১১ এএম
    এস এম তারেক, মেহেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ১২:১১ এএম

    টাঙ্গাইলের ধর্ষককে ধরতে মেহেরপুরে পুলিশের অভিযান

    এস এম তারেক, মেহেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ১২:১১ এএম

    টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দ্বিতীয় শ্রেণির এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত সিএনজি চালক ফিরোজ মিয়াকে (৪৫) ধরতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ব্রজপুর গ্রামে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে উপজেলার ব্রজপুর গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে স্ত্রী-ছেলে নিয়ে আত্নগোপনে ছিলেন ফিরোজ মিয়া।

    তথ্য প্রযুক্তির সহোযোগিতায় ফিরোজ মিয়ার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গাংনী থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালায় মির্জাপুর থানা পুলিশ।

    এ অভিযানে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন (২১), যিনি ওই ধর্ষণ মামলার সন্দেহভাজন আসামি। তাকে মঙ্গলবার (১০ মার্চ) একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় ফিরোজ মিয়ার স্ত্রীকেও আটক করা হয়েছিল; তবে তার বিরুদ্ধে মামলায় কোনো অভিযোগ না থাকায় তাকে জিজ্ঞেসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

    পুলিশের তথ্যমতে জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের একটি গ্রামে বেড়াতে আসা দ্বিতীয় শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী (১০) ধর্ষণের শিকার হয়। অভিযুক্ত সিএনজি চালক ফিরোজ মিয়া শিশুটিকে কৌশলে একটি টয়লেটে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

    প্রথমে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করা হয়, যেখানে ফিরোজ মিয়াকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে শিশুটির পরিবারকে ৯২ হাজার টাকা দেওয়া হলেও বাকি অর্থ না দেওয়ায় বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

    পরবর্তীতে পুলিশ শিশুটিকে ও তার পরিবারকে থানায় এনে জিজ্ঞেসাবাদ করে। মামলার প্রস্তুতির সময় এজাহারে ফিরোজ মিয়াসহ আরও দুজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাহাদ জানান, গাংনী থানা পুলিশের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে অভিযুক্ত ফিরোজ মিয়া পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী শিশুটিকে টাঙ্গাইল সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার পর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। বিচারক রুমিয়ারা খাতুন শিশুটির জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

    মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, অভিযুক্ত ধর্ষণকারীর গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। খুব শিগগিরই তাকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

    গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, টাঙ্গাইলের ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামিকে ধরতে গাংনী থানা পুলিশের সদস্যরা টাঙ্গাইল থেকে আসা পুলিশের টিমকে সহয়তা করে। অভিযুক্ত আসামি সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায়। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…