এইমাত্র
  • ধ্বংসস্তূপে বসে গাজাবাসীর শেষ বাক্য: ‘এবার বাঁচার আশা নেই’
  • সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী গ্রেপ্তার
  • অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটের ডাক
  • গাজায় গণহত্যা, সোমবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত বৈষম্যবিরোধীদের
  • ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের ভয়ংকর তথ্য: ফেঁসে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু
  • বাংলাদেশে ব্যবসার অনুমোদন পেয়েছে স্টারলিংক
  • বাউফলে ট্রলির ধাক্কায় যুবক নিহত
  • সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন তামিম
  • ওয়াকফ বিল ভারতকে মুসলিম শূণ্য করার গভীর চক্রান্ত: চরমোনাই পীর
  • এবার ব্রিটিশ দুই এমপিকে আটক করেছে ইসরায়েল
  • আজ সোমবার, ২৪ চৈত্র, ১৪৩১ | ৭ এপ্রিল, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ঈদের নামাজ শেষে জিলাপির টাকার হিসাব নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫

    আরেফিন লিমন, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম
    আরেফিন লিমন, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম

    ঈদের নামাজ শেষে জিলাপির টাকার হিসাব নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫

    আরেফিন লিমন, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম

    পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লামনা গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কয়সর আলী সিকদার বাড়ি জামে মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে জিলাপির টাকা দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।

    রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে ঈদের নামাজ শেষে এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লীদের মধ্যে জিলাপি বিতরণের পর টাকা দেওয়া-নেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয় এবং পরে সংঘর্ষে রূপ নিলে দুই পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ৫ জন আহত হন।

    আহতরা হলেন, মো. রাসেল (৩২), আব্দুর রহমান (৪০), মো. রাজ্জাক (৩৩), মোসা. ফাতিমা (২৮) ও জাহিদুল ইসলাম (৩৮)। তারা সকলেই বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লামনা গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে তিনজনকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

    ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান ও জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা নাম নিয়ে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার জেরে দুলাল সিকদার, আলামিন সিকদার ও ফিরোজ সিকদারের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা গলাচিপা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।

    আব্দুর রহমান আরও বলেন, "গত রাতে আলোচনা হয়েছে ঈদের জন্য ১৫ কেজি জিলাপি কেনা হয়। কিন্তু আজ নামাজ শেষে জিলাপির টাকার হিসাব করা হবে বলে আমাদের বসতে বলা হয়। মুসল্লিরা চলে যাওয়ার পরই তারা অতর্কিত হামলা চালায়।

    অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিবাদীপক্ষ পূর্বশত্রুতার জেরে ইচ্ছাকৃতভাবে এ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা নাম নিয়ে আগে থেকেই দু'পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল।

    মসজিদ কমিটির সভাপতি সুলতান সিকদার বলেন, আমি বর্তমানে এলাকায় নেই। ঘটনার বিষয় শুনেছি, বাড়িতে এসে বিস্তারিত জানার পর এ নিয়ে বসবো। তিনি স্বীকার করেন যে, মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা নাম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

    গলাচিপা থানার ওসি (তদন্ত) ঝিলন হাওলাদার বলেন, "অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    পিএম

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…