পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লামনা গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কয়সর আলী সিকদার বাড়ি জামে মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে জিলাপির টাকা দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে ঈদের নামাজ শেষে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লীদের মধ্যে জিলাপি বিতরণের পর টাকা দেওয়া-নেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয় এবং পরে সংঘর্ষে রূপ নিলে দুই পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ৫ জন আহত হন।
আহতরা হলেন, মো. রাসেল (৩২), আব্দুর রহমান (৪০), মো. রাজ্জাক (৩৩), মোসা. ফাতিমা (২৮) ও জাহিদুল ইসলাম (৩৮)। তারা সকলেই বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লামনা গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে তিনজনকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান ও জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা নাম নিয়ে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার জেরে দুলাল সিকদার, আলামিন সিকদার ও ফিরোজ সিকদারের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা গলাচিপা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।
আব্দুর রহমান আরও বলেন, "গত রাতে আলোচনা হয়েছে ঈদের জন্য ১৫ কেজি জিলাপি কেনা হয়। কিন্তু আজ নামাজ শেষে জিলাপির টাকার হিসাব করা হবে বলে আমাদের বসতে বলা হয়। মুসল্লিরা চলে যাওয়ার পরই তারা অতর্কিত হামলা চালায়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিবাদীপক্ষ পূর্বশত্রুতার জেরে ইচ্ছাকৃতভাবে এ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা নাম নিয়ে আগে থেকেই দু'পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল।
মসজিদ কমিটির সভাপতি সুলতান সিকদার বলেন, আমি বর্তমানে এলাকায় নেই। ঘটনার বিষয় শুনেছি, বাড়িতে এসে বিস্তারিত জানার পর এ নিয়ে বসবো। তিনি স্বীকার করেন যে, মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা নাম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
গলাচিপা থানার ওসি (তদন্ত) ঝিলন হাওলাদার বলেন, "অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিএম