টঙ্গীর দত্তপাড়া আলম মার্কেট এলাকায় কামরুজ্জামান জীবন (২৭) হত্যাকাণ্ডের এক মাস পার হলেও প্রধান আসামি সুজন এখনো প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং দ্রুত বিচার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছে।সুজন টঙ্গীর ব্যাংকের মাঠ বস্তি এলাকার শহর আলীর ছেলে।
গত ৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১টা ২০ মিনিটে জীবনকে বাসা থেকে ডেকে নেয় দুর্বৃত্তরা। কিছুক্ষণ পর তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরিবারের দাবি পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই জীবনকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত জীবনের স্ত্রী শুশুমা আক্তার মীম বলেন, সুজনসহ অন্যান্যরা পরিকল্পনা করেই জীবনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। আমি বারবার থানায় গেছি, তদন্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেছি কিন্তু এখনো সুজন ধরা পড়েনি। আমরা বিচার চাই, ন্যায়বিচার চাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এহতেশাম তালুকদার বলেন, "মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। অন্যান্য আসামিদের বিষয়ে আমরা অগ্রগতি করেছি। সুজনকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন বলেন, এই হত্যা মামলাটি আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। ইতিমধ্যে ৩ জন আসামী কে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুজনসহ অন্যান্য পলাতক আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। খুব শিঘ্রই সুজনসহ পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এমআর