ঈদুল আজহা মানেই নানা রকম সুস্বাদু মাংসের পদ, বিরিয়ানি, মিষ্টান্ন আর ঠান্ডা পানীয়ে ভরপুর এক উৎসবমুখর পরিবেশ। তবে অতিরিক্ত ও ভারী খাবার একসঙ্গে খেলে অনেক সময় দেখা দিতে পারে গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা, অম্বল কিংবা হজমের জটিলতা।
খাবারের ধরণে বাড়তে পারে হজমজনিত সমস্যা
দুবাইয়ের ফাংশনাল নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞ জুসেপ্পে বেলুচ্চি জানান, ঈদের মতো উৎসবের সময় আমরা সাধারণত তেল-মসলা ও ভাজাপোড়া খাবার বেশি খেয়ে ফেলি। এতে হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং পাকস্থলীতে অস্বস্তি তৈরি হয়। বিশেষ করে একবারে বেশি খেলে পাকস্থলীর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, ফলে হজম ধীরগতি হয়।
বিজ্ঞান কী বলে?
২০২৩ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দেখা গেছে, আমরা কী খাই এবং কতটুকু খাই, তার ওপর নির্ভর করে পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণের পরিমাণ। ভারী খাবার অ্যাসিড রিফ্লাক্স ও অম্বলের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। অন্যদিকে, ছোট পরিমাণে প্রোবায়োটিক ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ হজম সহজ করতে পারে এবং পাকস্থলীর অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
প্রোবায়োটিক খাওয়ার উপকারিতা
কর্নারস্টোন ক্লিনিকের সার্জন ডা. জিওভান্নি লিওনেত্তির মতে, প্রোবায়োটিক উপাদানসমূহ হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে এবং পাকস্থলীতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধরে রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে গ্যাস্ট্রিক ও পেটের অস্বস্তি কমে আসে।
ঈদের ভোজে যেসব প্রোবায়োটিক খাবার রাখা যেতে পারে:
দই: হজমে সাহায্য করে ও গ্যাস্ট্রিক কমায়দই
ফারমেন্টেড সবজি (যেমন আচার): উপকারী ব্যাকটেরিয়ার উৎস
মাঠা বা ঘোল: পেট ঠান্ডা রাখে এবং হজমে সহায়তা করে