ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার সবচেয়ে বড় শিকার হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষ। ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকারি হিসেবে, এখন পর্যন্ত ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথ জানিয়েছে, ইরানের হামলায় ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। ইসরায়েলি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত গৃহহীন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ৫ হাজার ১১০ জন মানুষকে। শুধু তেল আবিবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০৭ জন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) স্থানীয় সময় সকালে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অতিক্রম করে রাজধানী ও দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় আঘাত হানে। লক্ষ্যবস্তু ছিল মূলত সামরিক স্থাপনা, তবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাসপাতাল ও বেসামরিক এলাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে বির শেবা শহরের সরোকা মেডিকেল সেন্টার।
যদিও ইরান দাবি করেছে, এ হামলায় তাদের লক্ষ্য ছিল হাসপাতালের পাশে থাকা সামরিক স্থাপনা। তবে ইসরাইলের উপ–পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে হাসপাতালকে টার্গেট করেছে। এ ঘটনায় ইরানকে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী’ হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলও ইরানের সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক স্থাপনা, জ্বালানি অবকাঠামো, এমনকি আবাসিক এলাকাগুলোতেও হামলা চালিয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ এখন বেসামরিক পরিসরে ছড়িয়ে পড়েছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে।
এই সংঘাতের মাঝে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ, বাস্তুচ্যুতি ও ক্ষয়ক্ষতির চিত্র যেন আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। যুদ্ধ কখনও কেবল সীমান্তের ব্যাপার নয়, এর ভয়াবহতা আঘাত হানে নাগরিক জীবনের গভীরতম স্তরেও।
আরডি