যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যকে ‘বিভ্রান্তিকর ও পরস্পরবিরোধী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদেহ।
তিনি বলেন, ট্রাম্পের বার্তাগুলো বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এগুলো থেকে স্পষ্ট হয়, মার্কিন প্রশাসন সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে সংঘাতে জড়িত। খবর বিবিসি বাংলা
বিগত সপ্তাহে ইসরায়েলের আক্রমণের আগেই পারমাণবিক ইস্যুতে আমেরিকার সঙ্গে সমঝোতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল ইরান। কিন্তু ইসরায়েলের আগ্রাসন সেই আলোচনার পরিবেশ নষ্ট করে দেয় বলে অভিযোগ করেন খাতিবজাদেহ।
তিনি জানান, হোয়াইট হাউস থেকে ‘ব্যাকডোর ম্যাসেজ’-এর মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে আমেরিকা এই সংঘাতে জড়িত নয় এবং জড়িত হতে চায় না। অথচ ট্রাম্পের প্রকাশ্য বক্তব্য এসবের সম্পূর্ণ বিপরীত।
ট্রাম্প সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, ইরানি আলোচকরা হোয়াইট হাউসে যেতে চেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে খাতিবজাদেহ বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইরানের কোনো ধরনের যোগাযোগ হয়নি।’
খাতিবজাদেহ আরও বলেন, ‘ইরান যুদ্ধ চায় না, তবে আত্মরক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছে। ইসরায়েলের হামলায় শত শত ইরানি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এমনকি কূটনৈতিক প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আত্মরক্ষা করছি এবং চালিয়ে যাব, যতক্ষণ না আক্রমণকারী শিখছে, যে কাউকে চাইলেই আক্রমণ করা যায় না।’
ইরান এর আগেই জানিয়েছে, ইসরায়েলের আক্রমণের জবাব দেয়া হবে। গত রোববার তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান আলোচনা বাতিল করে।
এবি