ময়মনসিংহের নান্দাইলে পাট ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার, নিড়ানি ও সার প্রয়োগ করছেন কৃষকরা।
সোনালি আঁশ খ্যাত ফসল পাটের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় নান্দাইলে কৃষকেরা সোনালি আঁশের স্বপ্ন দেখছেন। অল্প খরচ ও কম সময়ে বেশি লাভের আশায় সোনালি আঁশ পাট চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। গত ২-৩ বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষক পাট চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৭৮৮ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দেশী ১১০ হেক্টর, তোষা ৩৫০ হেক্টর, কেনাফ ৩২২ হেক্টর ও মেস্তা জাতীয় পাট আবাদ হয়েছে ০৬ হেক্টর জমিতে।
উপজেলার চরবেতাগৈর, বীরবেতাগৈর, খারুয়া, শেরপুর, গাঙ্গাইল ও মুসুল্লি ইউনিয়নে পাট চাষ বেশি হয়েছে। এর মধ্যে চরবেতাগৈর ইউনিয়নে পাট চাষ বেশি হয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার বীরকামট খালী, চরকামট খালী, চরউত্তরবন্দ, চরশ্রীরামপুর ও হাটশিরার চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, কৃষকের মাঠে মাঠে চোখ জুড়ানো সবুজের সমারোহ। চারিদিকে শুধু পাটক্ষেত। সামান্য বাতাসে দুলছে পাটের কচি ডগা।
আবহাওয়া অনুকূল, পাটক্ষেতে কৃষকদের পরিচর্যা ও সার সঙ্কট না থাকার ফলে নান্দাইলে এ বছর সোনালী আঁশ পাটের আবাদ ভালো হয়েছে।
চরকামট খালী গ্রামের কৃষক বাদল ৫০ শতক, শাহজাহান ২৫ শতক, শাহাব উদ্দিন ৩০ শতক, বাচ্চু মিয়া ৩০ শতক ও কাইয়ুম শিকদার ২০ শতক জমিতে পাট চাষ করেছেন।
কৃষক বাদল মিয়া জানান, তিনি এ বছর ৫০ শতক জমিতে পাট রোপণ করেছেন। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তিনি পাটক্ষেতের ঘাস পরিষ্কার করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল হক বলেন, কৃষি অফিস থেকে আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে থাকি।
নান্দাইল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নাঈমা সুলতানা বলেন, চলতি মৌসুমে নান্দাইলে ৭৮৮ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে পাটের ভালো ফলন হয়েছে।
এআই