মেক্সিকোর সিনালোয়া প্রদেশে একটি মহাসড়কের পাশ থেকে ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের সবার শরীরেই গুলির চিহ্ন রয়েছে।
মঙ্গলবার (০১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মেক্সিকোর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিনালোয়া প্রদেশে একটি মহাসড়কের পাশে থেকে ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার প্রাদেশিক প্রসিকিউটরের দপ্তর জানায়, এর মধ্যে চারটি মরদেহ রাস্তার ধারে পড়ে ছিল। আর বাকি ১৬টি মরদেহ একটি পরিত্যক্ত গাড়ির ভেতরে পাওয়া যায়। সব মরদেহেই গুলির চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানায়, এই অঞ্চলে সহিংসতা গত এক বছরে মারাত্মকভাবে বেড়েছে। কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, সিনালোয়া কার্টেলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইসমায়েল “এল মায়ো” জামবাদা’র সম্ভাব্য গ্রেপ্তার বা অপহরণ।
জামবাদা দাবি করেছেন, তিনি জেলবন্দি মাদক সম্রাট জোয়াকিন “এল চাপো” গুজমানের ছেলের হাতে অপহৃত হয়েছিলেন এবং জোর করে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পর থেকেই কার্টেলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ শুরু হয়।
এল চাপোর অনুসারী ও তার ছেলেরা একদিকে, আর জামবাদার ঘনিষ্ঠরা আরেকদিকে অবস্থান নেয়। সরকারি হিসাব বলছে, এ ধরনের সংঘাতে অন্তত ১২০০ জন নিহত হয়েছেন শুধু এই অঞ্চলে।
মূলত সিনালোয়া কার্টেলকে যুক্তরাষ্ট্র “সন্ত্রাসী সংগঠন” হিসেবে ঘোষণা করেছে। মেক্সিকোতে এ ধরনের মোট ছয়টি মাদকচক্র রয়েছে, যাদের ওপর এই বিশেষ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মাদক-সংক্রান্ত সহিংসতায় দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষ।
এমআর-২