কক্সবাজারের চকরিয়ায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে, উক্ত বৃষ্টি প্রভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার (৭ জুলাই) গভীর রাত থেকে বিরতিহীন ভাবে মুষলধারে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তা এখনো থামেনি।
এদিকে বিরতিহীন ভাবে বৃষ্টি শুরু হওয়াতে মানুষের জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টি হওয়াতে মানুষের কর্মজীবন ব্যাঘাত হচ্ছে। ফলে খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি দেখা যাচ্ছে।
চকরিয়ায় আনিসুল মোস্তফা বশির নামে এক বাস চালক বলেন, সারাদিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না, বাসের যাত্রী সংখ্যা ও খুব কম। বৃষ্টির কারণে যাত্রী কম হওয়া বাসও নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়তে পারছে না।
চকরিয়া নতুন বাসটার্মিনাল এলাকায় মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন নামে একজন ইজিবাইক চালকের সাথে কথা হয়, তিনি বলেন সকাল থেকে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে তেমন যাত্রী পায় নাই। সারাদিন বিরতিহীন ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে ফলে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। এমতাবস্থায় যাত্রী কম থাকায় ভাড়াও কম হচ্ছে। এমতাবস্থায় আরো কয়েকদিন বৃষ্টি থাকলে আমাদের কপালে হাত দেওয়া ছাড়া আর উপায় থাকবে না।
মাছের প্রজেক্টের মালিক মোহাম্মদ আকতার হোছাইন বলেন, সারাদিন বিরতি ছাড়া বৃষ্টি হচ্ছে, এ বৃষ্টি আরো ২/৩ দিন থাকলে পাহাড়ি বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড়ি বন্যা হলে মাছের প্রজেক্টগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে পারে ফলে আমরা যারা প্রান্তিক মাছ চাষী আছি তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এমতাবস্থায় পানি নিষ্কাশনের জলকপাট গুলো খুলা রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করছি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, গভীর রাত থেকে বিরতিহীন ভাবে বৃষ্টি হওয়াতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র গুলো প্রস্তুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়ে যাতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান বলেন,সোমবার(৭ জুলাই) সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ১২৪ মিলি সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিরতিহীন বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। সে জন্যপাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী মানুষদেরকে নিরাপদ স্থানে চলে আসার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। এ বৃষ্টির প্রবণতা আগামীকালের মধ্যে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এনআই