রিও ডি জেনেরিওতে চলমান ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে গাজায় ইসরায়েলের স্বাস্থ্য অবকাঠামোতে হামলা এবং নিরীহ জনগণকে লক্ষ্যবস্তু করা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করা হয়।
গতকাল সোমবার (৭ জুলাই) ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান ইসরায়েলের এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান। সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত জানা যায়, প্রিন্স ফয়সাল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং নিরীহ জনগণের সুরক্ষার দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, গাজায় মানবিক দুর্দশা উপেক্ষা করা যায় না এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কঠোর পরিশ্রম করে সংকট সমাধান করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে দুই রাষ্ট্রের সমাধানের ভিত্তিতে সকলের জন্য স্থায়ী ও সার্বজনীন শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী “পরিবেশ, কোপ৩০ এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য” শীর্ষক একটি সাধারণ অধিবেশনকে ভাষণ দেওয়ার সময় সৌদি আরবের জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন কাঠামো সংক্রান্ত চুক্তি ও প্যারিস চুক্তির প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বিভিন্ন দেশের বৈচিত্র্যময় পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাস্তবসম্মত ও সুষম পন্থার দাবি জানান।
এছাড়া তিনি বলেন, জল সংকট মোকাবিলায় সৌদি আরব উন্নত পদ্ধতি ও প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ ও জল সম্পদের যথাযথ ব্যবস্থাপনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, গ্লোবাল ওয়াটার অর্গানাইজেশন প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরবের নেতৃত্ব রয়েছে, যা গুরুত্বপূর্ণ এই সম্পদে ন্যায্য প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে।
স্বাস্থ্য খাতে, সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনায় প্রতিরোধমূলক ও সমন্বিত সেবার ওপর ব্যাপক সংস্কারের অংশ রয়েছে। তিনি হজ ও উমরাহ পরিচালনার ক্ষেত্রে সৌদি আরবের অভিজ্ঞতাকেও তুলে ধরেন এবং আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, হজ ও উমরাহ পরিচালনার দক্ষতা সৌদি আরবকে স্বাস্থ্য জরুরি পরিস্থিতিতে প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়ার জন্য একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এসকে/এইচএ