ময়মনসিংহের ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলায় জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, কয়েকটি জায়গায় দুর্ঘটনা নিত্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মহাসড়কের ছোট গাড়িগুলো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফুলপুর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির গত সভায় বিষয়টির সুরাহা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার মধ্যে রয়েছে- শেরপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ফুলপুর উপজেলার আনোয়ার খিলা গ্রামে গত ২৯ জুন বাসচাপায় এক মহিলার মৃত্যু হয়। একই সড়কে তারাকান্দা উপজেলার বাগুন্দা মোড়ে গত ২২ জুন ৬ গাড়ির সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও অনেকে আহত হন।
ফুলপুর পৌরসভার কাজিয়াকান্দা নামক স্থানে গত ২০ জুন রাতে ঢাকাগামী বাসের সঙ্গে হালুয়াঘাটগামী মাহেন্দ্র গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মাহেন্দ্র গাড়ি দুমড়েমুচড়ে মহিলাসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়। একই দিন সন্ধ্যায় তারাকান্দা উপজেলার রামচন্দ্রপুর নামক স্থানে হালুয়াঘাটগামী অ্যাম্বুলেন্স ও ময়মনসিংহগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু ঘটে। এতে আরও পাঁচজন আহত হন। তারাকান্দা উপজেলার পশ্চিম তালদিঘী নামক স্থানে গত ১০ জুন একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের মসজিদে ধাক্কা দিলে ৪ জনের মৃত্যু ঘটে। আহত হন আরও ১২ জন।
একই দিন ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা মহাসড়কের তারাকান্দার গাছতলা নামক স্থানে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক তরুণের মৃত্যু হয়। গত ঈদের দিন ফুলপুর উপজেলার পূর্ববাখাই গ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আরও এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া, মহাসড়কের কয়েকটি জায়গায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। এর মধ্যে রয়েছে শেরপুর-ময়মনসিংহ সড়কের ফুলপুর উপজেলার চানপুর, ইমাদপুর, তারাকান্দা উপজেলার বাগুন্দা মোড়, নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কের গাছতলা মোড় ও কাশিগঞ্জ বাজার এলাকা।
বাগুন্দা মোড়সংলগ্ন বাড়ির চান মিয়া জানান, স্থানটিতে গত ৩০ বছরে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চানপুর গ্রামের সোহাগ মিয়া জানান, চানপুর মোড়ে প্রতিনিয়ত গাড়ি উলটে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে জনমনে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ফুলপুর উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, রাস্তা নির্মাণের সময় মোড়গুলোতে আনুপাতিক হারে ঢাল না রাখায় এমন হতে পারে।
এআই