মিরপুরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটারদের আশা-যাওয়ার মিছিলে শেষ পর্যন্ত ১৩৩ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। শেষদিকে শেখ মেহেদী হাসান এবং জাকের আলী অনিকের ব্যাটে চড়ে ইনিংস এ সংগ্রহ পায় টাইগাররা।
ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খায় দল। দীর্ঘদিন দলে জায়গা পেলেও নিজের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন নাঈম শেখ। বাঁহাতি এই ওপেনার স্কুপ খেলতে গিয়ে ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ হারিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাত্র ৩ রানে। তখন দলীয় রান ছিল মাত্র ৫।
এরপর লিটন দাস পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও বেশি দূর এগোতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৮ রানে ছক্কা মারতে গিয়ে সালমান মিজার বলে হাসান নওয়াজের হাতে ক্যাচ তুলে দেন অধিনায়ক।
এক উইকেটের পরপরই ঘটে আরও একটি অপ্রত্যাশিত রানআউট। মিড-অফে বল ঠেলে প্রান্ত বদলের সময় নন-স্ট্রাইকে থাকা তাওহিদ হৃদয় পৌঁছানোর আগেই স্টাম্প ভেঙে দেন পাকিস্তান অধিনায়ক আগা সালামান। রানের খাতা না খুলেই ফিরে যান হৃদয়।
দলীয় ২৫ রানের মাথায় আরও একটি ধাক্কা আসে। প্রথম ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো পারভেজ হোসেন ইমন এদিন থিতু হওয়ার আগেই আউট হয়ে যান। তিনি ফেরেন ১৩ রানে, যা দলের ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়।
এরপর ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন শেখ মেহেদী হাসান এবং জাকের আলী অনিক। দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত এবং কৌশলী ব্যাটিংয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন দুজন। স্ট্রাইক রোটেশনের সাথে সাথে বাউন্ডারি হাঁকানোর মুন্সিয়ানাও দেখিয়েছেন মেহেদী-জাকের। তাতে দলের ইনিংসও বিপদ সামাল দেয়। ২৫ বলে ৩৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলা মেহেদী থামেন দলের ৮১ রানের মাথাতে।
মেহেদী ফিরলেও টিকে ছিলেন জাকের। শেষ পর্যন্ত চালিয়েছেন তাণ্ডব। মাঝে ৪ বলে ৮ রানের ইনিংস খেলেছেন রিশাদ হোসেন। তানজিম হাসান সাকিব ৪ বলে করেন ৭ রান। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়া জাকের ৪৮ বলে করেন ৫৫ রান। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৩৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি, সালমান মির্জা এবং আহমেদ দানিয়েল। ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ নওয়াজ এবং ফাহিম আশরাফ।
আরডি