রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় রূপলাল দাস নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা।
রবিবার (১০ আগস্ট) বিকেল ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বেলতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রংপুর–দিনাজপুর মহাসড়কে নিহতের লাশ রেখে সড়ক অবরোধ করে তার স্বজন ও এলাকাবাসী।
এ সময় সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
এলাকাবাসীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অবরোধে যোগ দেন বেলতলী ব্যবসায়ী সমিতি ও তারাগঞ্জ বাজার কমিটির সদস্যরাও।
নিহত রূপলালের আত্মীয়রা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলায় পরিকল্পিতভাবে কিছু যুবক রূপলাল ও তার ভাগ্নে জামাই প্রদীপ দাসকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ঘটনাস্থলেই রূপলাল নিহত হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে মারা যান প্রদীপ দাস।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। তারা দাবি জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় তাঁরা আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
অবরোধ চলাকালে দেড় ঘণ্টা পর তারাগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন তৌফিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিলে জনতা অবরোধ প্রত্যাহার করে।
এলাকাবাসী জানান, রূপলাল একজন নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। তাকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তারা কোনোভাবেই সুস্থ মানুষ হতে পারে না।
এনআই