গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দেশীয় মাছ রক্ষা ও বিভিন্ন জলাশয়ের পানি আটকে দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি জায়গায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইয়াসা রহমান তাপাদার।
আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাস বৃষ্টির পানিতে ডিম দিয়ে থাকে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ। এই মা মাছগুলো বিভিন্ন অবৈধ যন্ত্রপাতি দিয়ে আহরণ করা হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসের পক্ষে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন উপায়ে ব্রিজ-কালভার্টগুলোতে পানি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে এমন অভিযোগও ওঠে এলাকার কৃষকদের।
এলাকায় কয়েকজন কৃষক জানান, বৃষ্টির পানি কোথাও কোথাও এমনভাবে আটকিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এতে আমরা যে ধান রোপণ করেছিলাম সেগুলো পানির নিচে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, এখন দেশীয় মাছের প্রজননের সময়, কিন্তু এক শ্রেণীর মানুষ বিভিন্ন অবৈধ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এই মা মাছগুলো আহরণ করছে। আমরা বিভিন্ন গ্রামে যাচ্ছি মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইয়াসা রহমান তাপাদার জানান, অবৈধ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মা মাছগুলো আহরণ করা হচ্ছে, পাশাপাশি পানি আটকিয়ে কোথাও কোথাও প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা এমন অভিযোগ পেয়ে আজ কয়েকটি জায়গায় গিয়ে প্রাথমিকভাবে তাদেরকে সতর্ক করেছি।
এআই