আজ ১২ আগস্ট, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫। এ উপলক্ষে আজ ৪ হাজার ৯৮৫ জন যুবকে ৪৭ কোটি ২৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা যুবঋণ দেবে সরকার। গতকাল সোমবার (১১ আগস্ট) সরকারি তথ্য বিবরণীতে এই কথা বলা হয়েছে।
তথ্য বিবরণীতে আরো বলা হয়েছে, প্রতিবছরের মতো এ বছরেও যুব কার্যক্রমে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠত্বের ভিত্তিতে জাতীয় যুব পুরস্কার দেওয়া হবে।
জাতীয় পর্যায়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়, বিভাগীয় পর্যায়ে এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, ট্রান্স জেন্ডার, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যুবদের নির্বাচন করা হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি আজ সকাল দশটায় ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হবে ।
এ বছর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘প্রযুক্তিনির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি।’ দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি জাতির প্রতিটি ক্রান্তিকালে যুবসমাজের সাহসী ও অগ্রণী ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী তারুণ্যের জয়যাত্রাকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর যুবশক্তিকে মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ, আত্মকর্মসংস্থান ঋণ, সংগঠনভিত্তিক স্বেচ্ছা ও সেবামূলক কাজে যুবদের সম্পৃক্তকরণে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কাজ করছে। আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক কারিগরি প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষণোত্তর আর্থিক ও উপকরণ সহায়তার মাধ্যমে মানবসম্পদে পরিণত করার ব্রত নিয়ে বছরে প্রায় দুই লাখ যুব কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হচ্ছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যুবশক্তিকে সম্পদে পরিণত করতে দেশের ৬৪টি জেলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, পরিবেশবান্ধব বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন, মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।
শিক্ষা, প্রশিক্ষণহীন, কর্মহীন ৯ লাখ বেকার যুবককে ‘আর্ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ১৮ থেকে ৩৫ বছরের যুবদের গত এক বছরে দুই লাখ ৭১ হাজার ৭১৯ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের সহযোগী হিসেবে কাজ করার জন্য এক হাজার ৭৬ জন যুবককে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই দিবস উপলক্ষে স্মরণিকা, বার্ষিক প্রতিবেদন, জাতীয় যুব পুরস্কারপ্রাপ্তদের সাফল্য সংবলিত পুস্তিকা, ব্রশিয়ের ও পোস্টার প্রকাশিত হবে।
আন্তর্জাতিক যুব দিবসটি প্রথম চালু করে জাতিসংঘ ২০০০ সালে। তখন থেকেই এ দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে বিশ্বব্যাপী, যুব সমাজের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরতে এবং তাদের সম্ভাবনাগুলোকে সামনে আনতে। আজকের এই একটি দিন যা তরুণ-তরুণীদের ক্ষমতা, সৃষ্টিশীলতা ও সমাজে তাদের অবদানের স্বীকৃতির জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে।
আজকের তারুণ্য মানেই আগামী দিনের ভরসা। তারা শুধু ভবিষ্যতের জন্য নয়, এখনই সমাজে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রযুক্তি, শিক্ষায় উদ্ভাবন, সামাজিক সচেতনতা কিংবা পরিবেশ রক্ষা—সব ক্ষেত্রেই তরুণদের অবদান এখন চোখে পড়ার মতো।
এইচএ