ময়মনসিংহের নান্দাইলে পাট কাটা ও পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। যেন তাদের দম ফেলার সময় নেই।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দেখা যায়, সকাল থেকেই কৃষকেরা তাদের সোনালী ফসল পাট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কেউ কাছি হাতে পাট কাটছেন, আবার কেউ কেউ পানিতে পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছেন। অনেকেই রোদে-বাতাসে পাট ও পাটকাঠি শুকানোর কাজ করছেন।
রাস্তায় বা বাড়ির সামনে বসে পাট ছাড়ানো ও পাট শুকানোর কাজ করছেন কৃষকরা। আর এই কাজে পিছিয়ে নেই কৃষাণীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৭৮৮ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দেশী ১১০ হেক্টর, তোষা ৩৫০ হেক্টর, কেনাফ ৩২২ হেক্টর ও মেস্তা জাতীয় পাট আবাদ হয়েছে ৬ হেক্টর জমিতে।
উপজেলার চরবেতাগৈর, বীরবেতাগৈর, খারুয়া, শেরপুর, গাঙ্গাইল ও মুসুল্লি ইউনিয়নে পাট চাষ বেশী হয়েছে। এর মধ্যে চরবেতাগৈর ইউনিয়নে পাট চাষ বেশী হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূল, পাটক্ষেতে কৃষকদের পরিচর্যা ও সার সঙ্কট না থাকার ফলে নান্দাইলে এ বছর সোনালী আঁশ পাটের আবাদ ভালো হয়েছে।
চরকামট খালী গ্রামের কৃষক বাদল ৫০ শতক, শাহজাহান ২৫ শতক, শাহাব উদ্দিন ৩০ শতক, বাচ্চু মিয়া ৩০ শতক ও কাইয়ুম শিকদার ২০ শতক জমিতে পাটচাষ করেছেন।
কৃষক বাদল মিয়া জানান, 'পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছি। পাট ধুয়ে তা রোদে শুকাচ্ছি। পাটের ভালো ফলন হয়েছে।'
কৃষক শাহজাহান বলেন, 'পাট কেটে এখন পানিতে জাগ দিচ্ছি। এইবার পাটের অনেক ভালো ফলন হয়েছে।'
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, 'কৃষক পাট কাটা ও পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এইবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে।'
নান্দাইল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নাঈমা সুলতানা বলেন, 'চলতি মৌসুমে নান্দাইলে ৭৮৮ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে পাটের ভালো ফলন হয়েছে।'
এনআই