ফিলিস্তিনি স্পোর্টস মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন (পিএসএমএ) স্থানীয় সময় শনিবার (১১ জানুয়ারি) এক বিব্রিতিতে জানিয়েছে যে গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ৯৫ জন শিশুসহ ৭০৮ জন ক্রীড়াবিদ নিহত হয়েছেন। এক প্রতিবেদনে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পিএসএম-এর প্রধান মুস্তাফা সিয়াম জানিয়েছেন, রাবাত হ্যান্ডবল ক্লাবের হ্যান্ডবল কোচ আহমেদ হারুন, দেইর আল-বালাহ এবং আল-জালা ক্লাবের হয়ে খেলা আনাস আল-দেবজির মৃত্যুতে নিহত ক্রীড়াবিদদের সংখ্যা ৭০৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) মধ্য গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে বিমান হামলায় হারুন নিহত হন। অন্যদিকে, বুধবার (৮ জানুয়ারি) দেইর আল-বালাহ’র পশ্চিমে বিমান হামলায় আল-দেবজি নিহত হন।
সিয়াম বলেন, নিহতদের মধ্যে ৩৬৯ জন ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। এছাড়াও ১০৫ জন স্কাউটিং সংস্থার সদস্য এবং বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের ২৩৪ জন ক্রীড়াবিদ রয়েছেন।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে জানান, ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ) বিভিন্ন স্টেডিয়াম, জিম এবং ক্লাব সুবিধাসহ ২৭৩টি স্থাপনা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে।
সিয়াম আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘এই আক্রমণগুলি গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ক্রীড়ার ভবিষ্যতের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। চলমান বিমান হামলা, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ ব্যক্তিদের উপস্থিতি এবং এলাকায় সীমিত প্রবেশাধিকারের কারণে রিপোর্ট করা পরিসংখ্যান চূড়ান্ত নয়।’
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিশ্বব্যাপী ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোকে ‘ইসরায়েলের লঙ্ঘন বন্ধ করতে এবং ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদ এবং ক্রীড়া সুবিধাগুলোকে রক্ষা করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করেছেন।
এবি