টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় ইএফটি জটিলতায় চার মাস ধরে বেতন এবং ঈদের বোনাস পাচ্ছেন না বেসরকারি স্কুল কলেজের এমপিওভুক্ত সহস্রাধিক শিক্ষক কর্মচারী। ঈদের আগে ২৭ মার্চ শেষ কর্মদিবস থাকলেও বেতন ভাতা পাওয়ার কোন নিশ্চয়তা নেই। ফলে এসব শিক্ষক কর্মচারীর হতাশায় ঈদ পার করতে হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, মির্জাপুর উপজেলায় ৫৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০ টি কলেজ এবং ১৪টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৩৭০ জন শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত। এসব শিক্ষক কর্মচারী ম্যানেজিং কমিটির বেতন ভাতা পেতে সহজীকরণের লক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা সরাসরি ব্যাংকে ইএফটির মাধ্যমে দেওয়ার জন্য গত বছরের জুলাই মাস থেকে কার্যক্রম শুরু করেন। নানা জটিলতার কারণে এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন আটকে যায়। ফলে বিপাকে পরেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। প্রথম ধাপে কিছু শিক্ষক-কর্মচারী ডিসেম্বর মাসের বেতন পেলেও পরবর্তীতে আবার তা আটকে যায়। কবে নাগাদ ইএফটি চালু হবে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ইএফটি জটিলতায় জানুয়ারী থেকে মার্চ এবং ঈদের বোনাস এখনো বন্ধ রয়েছে। ২৭ মার্চের শেষ কর্মদিবসে বেতন বোনাস না হলে এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষক কর্মচারীদর হতাশা নিয়ে ঈদ পার করতে হবে।
ভুক্তভোগী শিক্ষকদের মধ্যে আব্দুল কাদের খান, শিরিন আক্তার, ফরিদ হোসেন, কামরুল ইসলামসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, স্কুল-কলেজ থেকে সঠিক ভাবে তথ্য দেওয়ার পরও ইএফটি জটিলতা হওয়ার কারণ আমাদের বোধগম্য নয়।
টাঙ্গাইল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার রানাশাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সঠিক তথ্য দেওয়া হলেও ইএফটি জটিলতার কারণে উপজেলায় ১ হাজার ৩৭০ জন শিক্ষক-কর্মচারী বেতন বোনাস না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, প্রথম ধাপে বেশ কিছু শিক্ষক-কর্মচারী ডিসেম্বর মাসের বেতন পেয়েছেন। ইএফটি জটিলতার কারণে মন্ত্রণালয় সব শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বোনাস দিতে পারছেন না। জটিলতা নিরসনের জন্য মন্ত্রণালয় কাজ করছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের এই সমস্যা সমাধান হবে বলে তিনি জানান।
এসআর