মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বৈদ্যেরগাও এলাকায় ক্ষুদ্রঋণ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আম্বালা ফাউন্ডেশনের নিজস্ব জমিতে থাকা সাতশত গাছ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তকারীরা।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাতের কোন এক সময়ে বাগানটিতে আগুন দেয় দুর্বৃ্ত্তরা। এতে প্রায় তিনশ’ আম গাছ ও দুইশত লেবু গাছ ও শতাধিক বনজ গাছ পুড়ে যায়।
জানাযায়, উপজেলার বৈদ্যেরগাও এলাকায় দেশের ক্ষুদ্রঋণ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আম্বালা ফাউন্ডেশনের ক্রয়কৃত জমি এবং ব্যক্তি মালিকানার ৭০ বিঘা জমিতে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতি ফলজ এবং বনজ গাছ রোপণ করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে গাছ গুলোতে ফলন আসছে। বিগত বছর গুলোতে বিভিন্ন সময় গাছের ফল চুরি হলেও এ ধরণের কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করা যায়নি। গতকাল দুবৃত্তকারীদের দেওয়া আগুনে এই ফল বাগানের প্রায় সকল গাছই পুড়ে গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক চাষী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘কেউ শত্রুতা করে বাগানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। প্রথমে আগুন দেওয়ায় বিষয়টি বুঝতে পারিনি। পরের দিন সকালে বাগান দেখতে গিয়ে আগুনের বিষয়টি জানতে পারি। দুর্বৃত্তকারীরা গাছের গোড়ায় পেট্টোল বা কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এমনটাই ধারণা স্থানীয়দের।
ফল বাগানের কেয়ারটেকার আঃ সাত্তার বলেন, ফজর নামাজের পর আমাকে পাশের বাড়ির এক মেয়ে ফোন দিয়ে বলেন কাকা আমাগো কি আগুন দিয়ে পুইরা লাইবেন। আমি বললাম কেন কি হইছে মা। পরে জানতে পারি বাগানে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। আমি দেখে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাই।
গাছ পুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমকে আম্বালা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আরিফ সিকদার বলেন, এ ধরণের কর্মকাণ্ড ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। এতগুলো গাছ পুড়িয়ে ফেলার মতো কাজ কোন মানুষ করতে পারে এটা ভাবতে অভাক লাগছে। তিনি বলেন, বাগানের বেশিরভাগ ফলই তো আশে পাশের মানুষ এবং পশু পাখি খায়। সেখানে বাগানের এ গাছ গুলো পুড়িয়ে দেওয়ার কোন কারণ দেখছি না। তাছারা কারো সাথে আমাদের কোন প্রকার শত্রুতাও নেই যে কারণে কেউ এমনটা ঘটাতে পারে। তবে যারাই এ ধরণের নেক্কারজনক কাজটি করেছেন তাদের আইনের আওতায় আনা জরুরি বলে আমি মনে করি।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার আলম আজাদ সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, গাছ পুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
পিএম