মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে মিশর, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, গুয়াতেমালা ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলো বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে।
স্মার্টফোনের মালিকানা এবং মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের দিক থেকে বিশ্বের চারটি অঞ্চলের ১২টি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মধ্যে তালিকার নিচের দিকে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ) চলতি বছরের অক্টোবরে 'দ্য স্টেট অব মোবাইল ইন্টারনেট কানেকটিভিটি ২০২৪' শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার নিম্নমধ্যম আয়ের ১২টি দেশের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে ৪১ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে ২৬ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে শহরে হার ৪৩ শতাংশ এবং গ্রামে ২৭ শতাংশ।
মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে মিশর, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, গুয়াতেমালা ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলো বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। শুধু ইথিওপিয়া ও উগান্ডা বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে।
দৈনন্দিন ইন্টারনেট ব্যবহারে শহরের হার ৪০ শতাংশ ও গ্রামের ২৪ শতাংশ। তুলনায় ইথিওপিয়া ছাড়া অন্য সব দেশই এগিয়ে।
জিএসএমএ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিজিটাল দক্ষতার অভাব বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রধান বাধা। শহরাঞ্চলের ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ এবং গ্রামাঞ্চলের জন্য খরচের বিষয়টি সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উঠে এসেছে।
স্মার্টফোনের উচ্চমূল্যও বড় একটি কারণ। শহরের ৮ শতাংশ এবং গ্রামের ১১ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোনের উচ্চমূল্যের কারণে এটি ব্যবহার করতে পারছেন না। এছাড়া, সাক্ষরতার অভাবের কারণে শহরের ২৮ শতাংশ এবং গ্রামের ১৯ শতাংশ মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না।
তবে কিছু অগ্রগতি হয়েছে—মোবাইল ইন্টারনেট সম্পর্কে সচেতনতার হার ২০১৯ সালে ৭২ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ৭৫ শতাংশে বেড়েছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও ব্যবহারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি।
এইচএ