ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে বড় সংকটে পড়েছেন সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডে বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটির কারণে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন তিনি। তবে বাংলাদেশে তার ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক প্রশ্ন। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং ঘরোয়া লিগে তার বোলিং নিয়ে কী সিদ্ধান্ত আসবে, সেটি এখন সবার কৌতূহলের বিষয়।
ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) সাকিবের বোলিং অ্যাকশনকে "অবৈধ" হিসেবে ঘোষণা করার পর তাকে সে দেশের ক্রিকেটে বোলিং থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ইসিবির এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রভাব ফেলবে কি না, তা নির্ভর করছে আইসিসির সিদ্ধান্তের ওপর।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনো খেলোয়াড়ের বোলিং অ্যাকশনে সমস্যা ধরা পড়ে, তবে তাকে পুনরায় পরীক্ষার মাধ্যমে তা প্রমাণ করতে হবে যে তার অ্যাকশন সঠিক। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার বোলিং নিষিদ্ধ থাকবে। তবে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সুযোগ জাতীয় ফেডারেশন চাইলে দিতে পারে।
বিসিবির অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস জানিয়েছেন, সাকিব ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ের জন্য তাকে আইসিসির নির্ধারিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ইসিবির পরীক্ষায় সাকিবের কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকানো ধরা পড়েছে। ফলে তাকে লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে বা আইসিসি স্বীকৃত অন্য কোনো পরীক্ষাগারে নতুন পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষায় সফল হলে তবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার বোলিং অনুমোদিত হবে।
সাকিবের দেশে ফিরে খেলা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। ৫ আগস্টের পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাকে ভক্তদের সমালোচনার মুখে ফেলে দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলার আগ্রহ প্রকাশ করলেও, জনরোষের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
বিপিএল খেলতে সাকিবের আইনি বা নিয়মগত কোনো বাধা নেই। তবে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাকে ঘিরে জনমতের প্রতিক্রিয়া এবং বিসিবির সিদ্ধান্ত তার খেলা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।
এসএফ