বাংলা সিনেমার একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর তার বিচ্ছেদ ও ব্যক্তিগত জীবনের নানা কঠিন অধ্যায়ের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। নব্বই দশকে ঢালিউড কাঁপানো এই নায়িকা পেশাগত জীবনে যেমন সাফল্যের শিখরে ছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনে ততটাই চড়াই-উতরাই পার করতে হয়েছে।
২০২০ সালে শাবনূর তার স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে তালাক দেন। তিনি জানান, অনিক সন্তান এবং তার যথাযথ যত্ন নিতেন না। তার বিরুদ্ধে মাদকাসক্তি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগও তুলেছেন শাবনূর। তালাক নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, "আমার স্বামী অনিক মাহমুদ সন্তান এবং আমার যথাযথ যত্ন করেন না। মদ্যপ অবস্থায় বাসায় ফিরে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন। সন্তান হওয়ার পর থেকে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছেন। এসব কারণে তার সঙ্গে আর সংসার করা সম্ভব নয়।"
শাবনূর বলেন, তার সাংসারিক জীবনের অভিজ্ঞতা এতটাই তিক্ত যে, ভবিষ্যতে আর বিয়ে করার কোনো ইচ্ছা নেই। তার একমাত্র পুত্র আইজান নিহানকে সঠিকভাবে মানুষ করাই এখন তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।
অভিনয়ে দীর্ঘ বিরতির পর কাজে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন শাবনূর। তিনি জানান, "গত বছর *রঙ্গনা* নামে একটি ছবিতে কাজ শুরু করেছিলাম, যা এখনো শেষ হয়নি। শিগগিরই কাজে ফেরার পরিকল্পনা করছি।"
অনিকের সঙ্গে সম্পর্কের শুরু ও শেষ
আংটিবদল:২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর।
বিয়ে:২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর।
সন্তান:২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর পুত্র আইজান নিহানের জন্ম।
তালাক: ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি।
৪৬তম জন্মদিনে শাবনূরকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভক্তদের ভালোবাসা আর শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। জীবনের নানা আক্ষেপ থাকলেও শাবনূর দৃঢ় মনোবল নিয়ে জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোতে মনোযোগী থাকার কথা জানান।
"অনেক কঠিন সময় পেরিয়ে এসেছি, কিন্তু আমি কখনো হাল ছাড়িনি। আমার লক্ষ্য জীবনের প্রতিটি দিন ইতিবাচকভাবে কাটানো।"
এসএফ