জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি শুকিয়ে গেছে উঠেছে অসংখ্য বালুচর। আর এই জেগে উঠা ধু ধু বালুচরে বাদামের চাষ করেছে চরাঞ্চলের কৃষকেরা। ইতোমধ্যে বাদাম গাছের সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে পুরো বালুচরের মাঠ। এখানকার বেলে মাটি বাদাম চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাই চরাঞ্চলের কৃষকরা তাদের বেলে মাটির জমিতে বাদাম চাষ করছেন। অনাবাদি পতিত জমিতে যেখানে কোন ফসল উৎপাদন হয়না সেখানে চার অঞ্চলের কৃষকেরা বাদাম চাষাবাদ করছে।
সুস্বাদু, মুখোরচক ও ভিটামিনসমৃদ্ধ এই ফসল একদিকে যেমন খাদ্য যোগান দিয়ে থাকে অন্যদিকে তেলের চাহিদা পূরণ করে। বাদাম ক্ষেত থেকে কচিপাতা কেটে কৃষকরা তাদের গরু-ছাগলের খাওয়ান। এতে গরু-ছাগল তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্যবান হচ্ছে। তাছাড়া অন্য ফসলের মতো বাদামের জমিতে তেমন একটা সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। শুধু সময়মতো বীজ বুনে বাদাম ঘরে তোলার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়। বীজরোপণের দুই থেকে ৩ মাসের মধ্যেই বাদাম তুলে সংগ্রহ ও হাট-বাজারে বিক্রি করা হয়।
বাহাদুরাবাদ ইউনিয়ন এর আজিজলপুর গ্রামের কৃষক শেখ মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম বলেন, গতবছর আমার জমি তে ভুট্টা সহ অন্যান্য আবাদ হত কিন্তু এবছরে নদীর স্রোতে জমিতে বালু পড়ে অনাবাদি পতিত জমিতে পরিনত হয় পরে বাদাম চাষাবাদ করি বিঘাপ্রতি খরচ ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা, বাদাম বিক্রি করব বিঘাপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের টিনেরচর যমুনা নদীর পাড়ের এলাকার কৃষক আবুল হোসেন বলেন, আমার জমিতে বালু আর বালু অন্য কোনো ফসল হয় না। আশা করি দাম ভালো পাব ও লাভবান হবো।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আলমগীর আজাদ জানান, দেওয়ানগঞ্জে ২০২ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষাবাদ হয়েছে। অনাবাদি পতিত বালুচরের জমিতে কোনো ফসল হয় না সেখানে আমরা কৃষকদের বাদাম চাষের জন্য পরামর্শ দেই কৃষকেরা আমাদের পরামর্শ নিয়ে বাদাম চাষ করে এবং কৃষকদের আমরা সবসময় পরামর্শ দিয়ে আসছি। আশা করছি এ বছরে বাদামের বাম্পার ফলন হবে।
এইচএ