প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী—সম্পর্ক যা-ই হোক না কেন, সেখানে ভালোবাসা, সম্মান, আদর, আবদার সবই রয়েছে। দু’জন দু’জনের বেস্ট ফ্রেন্ডও বটে। কোনও গোপনীয়তা নেই। রাখঢাকের বিষয়ও নেই। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড কি পার্টনারের সঙ্গে শেয়ার করা উচিত?
অনেক সময়ই দেখা যায়, সঙ্গী সোশ্যাল মিডিয়ার আইডি ও পাসওয়ার্ড চাইছে। আপনি হয়তো দিতে নারাজ। আপনার মনে দানা বাঁধছে অন্য কথা: তা হলে কি সঙ্গী সন্দেহ করছে আমায়?
ডিজিটাল যুগে জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। সেখানে আপনার সঙ্গে নতুন মানুষের আলাপ হতে পারে, বন্ধুত্বও হতে পারে। ব্যক্তিগত তথ্য বা মুহূর্তও কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। সেই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের আইডি ও পাসওয়ার্ড কি কারও সঙ্গে শেয়ার করা উচিত? কারও সঙ্গে একেবারেই নয়। কিন্তু সঙ্গীর সঙ্গে কি শেয়ার করা যায়? তাকে আপনি ভালোবাসেন, তার সঙ্গে জীবন কাটাতে চান, তা হলে পাসওয়ার্ড শেয়ারে ক্ষতি কি?
ওয়াইফাই বা নেটফ্লিক্সের পাসওয়ার্ড নয়, যে শেয়ার করলে কোনও ক্ষতি নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড দিতে অনেকেই কিন্তু বোধ করেন। পার্টনারের সঙ্গে যতই ঘনিষ্ঠতা থাকুক না কেন, পার্টনারের উপর বিশ্বাস থাকুক না কেন, সোশ্যাল মিডিয়া, ব্যাঙ্ক ইত্যাদির পাসওয়ার্ড শেয়ার না করাই ভালো।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার একটা পরিচিতি রয়েছে, কেউ তা ব্যবহার করে জালিয়াতি করতে পারে। আমার নাম-পরিচয় ব্যবহার করে এমন কিছু পোস্ট করে দিল, যাতে আপনার সম্মানহানি হয়ে গেল। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড কারও সঙ্গে শেয়ার না করাই ভালো। লং টার্ম রিলেশনশিপের ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড শেয়ার করতে পারেন। অর্থাৎ, দীর্ঘ বছরের সম্পর্ক, সে ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড শেয়ার করাই যায়। তবে ভেবেচিন্তা।
প্রতিটা মানুষের অনলাইন প্রাইভেসিকে সম্মান করা উচিত। অনেক সময় পার্টনারের প্রতি অবিশ্বাস, সন্দেহ তৈরি হয়। তখন পার্টনার সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড চাইতে পারে। কিন্তু যে সম্পর্কে বিশ্বাসের ভিত নড়বড়ে সেটা কি আপনার জন্য ভালো? এই প্রশ্ন মনে আসা স্বাভাবিক। কিন্তু পার্টনারের পার্সোনাল প্রাইভেসিকে সম্মান করা উচিত। এতে একে-অন্যের প্রতি সম্মান বজায় থাকে। পাসওয়ার্ড শেয়ার করাকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে সমস্যা তৈরি না করাই ভালো।
বরং, একে-অন্যের প্রতি বিশ্বাস রাখা দরকার, সম্মান করা দরকার। এতেই সম্পর্কের ভিত মজবুত হয়।
এসএফ