এইমাত্র
  • মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা: এসপি
  • বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ফিফার অনুমতি পেলেন হামজা চৌধুরী
  • ২০ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
  • ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
  • রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ: যা বললেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
  • নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধানের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
  • ড. ইউনূসকে পাকিস্তান সফরে শাহবাজ শরিফের আমন্ত্রণ
  • অনুমতি ছাড়াই ভারতীয় চিকিৎসকরা বাংলাদেশে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন: ডা. রফিক
  • বাংলাদেশকে ৬৮৫ ভারতীয় বিশিষ্ট নাগরিকের খোলা চিঠি
  • কোণঠাসা জ্যোতিকা জ্যোতি, বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করলেন বাড়িওয়ালা
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৫ পৌষ, ১৪৩১ | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    অবকাঠোমোগত সব সুবিধা থাকা স্বত্ত্বেও মাথা তুলতে পারছে না নাকুগাঁও স্থলবন্দর

    মিজানুর রহমান, শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
    মিজানুর রহমান, শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পিএম

    অবকাঠোমোগত সব সুবিধা থাকা স্বত্ত্বেও মাথা তুলতে পারছে না নাকুগাঁও স্থলবন্দর

    মিজানুর রহমান, শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পিএম

    সবরকম অবকাঠামোগত সুবিধা থাকার পরেও শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে কাঙ্খিত পণ্য আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ২১টি পণ্য আমদানির কথা থাকলেও শুধুমাত্র পাথর আমদানীর মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে বন্দরটি।

    একটা সময় এই বন্দরে ভারত ও ভুটান থেকে প্রতিদিন শতাধিক পাথর বোঝাই ট্রাক আসতো। সেখানে এখন ভারত ও ভুটান থেকে গড়ে মাত্র ২০-২৫টি ট্রাক আসছে। রপ্তানী কার্যক্রম নেই বললেই চলে। এতে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। উচ্চ পর্যায়ের নজরদারি ছাড়া এ বন্দরের গতি বাড়ানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। এ দিকে বিধি অনুযায়ী পণ্য আমদানি করলে সহযোগিতার কথা জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

    তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বৃটিশ আমল থেকেই নাকুগাঁও বন্দরটি চালু ছিল চেকপোষ্ট হিসেবে। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর এটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৭ সনে প্রায় ৩৩ বছর পর বন্দরটি ইমগ্রেশন চেকপোষ্ট সহ স্থল শুল্ক বন্দর হিসেবে পুনরায় চালু হয়। আমদানী করা হয় ভারতীয় কয়লা এবং পাথর। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বারাঙ্গাপাড়া থানার ডালু স্থল শুল্ক ষ্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত এই বন্দরটি খুব দ্রুত সম্ভাবনাময় স্থল বন্দর হিসেবে পরিচিতি পায়।

    ২০১৪ সালে ভারত থেকে পণ্য গ্রহণ, সংরক্ষণ, কাষ্টমস কর্তৃক রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুবিধা ও সেবা প্রদানের লক্ষে নাকুগাঁওকে পূণাঙ্গ স্থল বন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যায়ে ১৩ দশমিক ৪৬ একর জায়গায় গড়ে তোলা হয় নিরাপত্তা প্রাচীর, ৪শ’ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়্যার হাউজ, ওপেন ইয়ার্ড, একশ’ মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়েব্রীজ, দ্বীতল অফিস ভবন, ব্যারাক ভবন, টয়লেট কমপ্লেক্স, পাওয়ার হাউজ ভবন, শ্রমিক-ড্রাইভারদের জন্য গোসলখানা, ২টি ওয়াচ টাওয়ার, বৈদ্যুতিকরণ, সিকিউরিটি রুম. ৪টি ফ্ল্যাড লাইট। দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ।

    ২০১৫ সালের ১৮ জুন পূর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর হিসেবে এই বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়। অনুমতি দেওয়া হয় গবাদিপশু, মাছের পোণা, তাজা ফলমূল, গাছগাছড়া, বীজ, গম, পাথর , কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনা পাথর, পিঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, বলক্লে, কোয়ার্টাজ, শুটকি ও সুপারি। এছাড়াও সকল বৈধ পণ্য রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ে কোন তদারকি না থাকার কারণে কয়লা ও পাথরের মধ্যে আটকে পড়ে বন্দরের কার্যক্রম। বর্তমানে ভারতের পরিবেশবাদিদের বাঁধার কারণে কয়লা আমদানীও বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু সীমিত আকারে ভারত এবং ভূটান থেকে পাথর আমদানী করা হচ্ছে। কালে-ভদ্রে দুএক গাড়ী সিমেন্ট, তাঁতের শাড়ি ও মশারি রপ্তানি করা হলেও, এর হিসেব খুবই নগণ্য। ফলে বন্দরের স্থাপনা সমূহ অব্যবহৃত থেকে নষ্ট হচ্ছে। আগ্রহ হারাচ্ছে আমদানীকরাকরা। আমদানী-রপ্তানীকারক সমিতির হিসেব অনুযায়ী বন্দরে প্রায় তিন শতাধিক ব্যবসায়ী নিয়মিত ব্যবসা করতো। বর্তমানে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০/৭০ এ।

    আমদানীকারকরা জানান, যে সমস্ত পণ্য আমদানী করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় পক্ষের অনীহার কারণে সে সব পণ্য আমদানী করা যায় না।

    তারা জানান, নাকুগাঁও বন্দর থেকে ৩শ’ কিলোমিটার দূরে ভারতের আসামের জগির রোড এলাকায় এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় শুটকি মাছের বাজার। যা আমদানী করতে এখানকার ব্যবসায়ীদের প্রচন্ড আগ্রহ। কিন্তু ভারতীয় কাষ্টমসের অসহযোগিতার কারণে তারা তা আনতে পারেন না। এ ছাড়া তাজা ফলমূল, আদা পেঁয়াজ, রসুন সহ অন্যান্য পণ্য আমদানি ও বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানীতেও একই সমস্যা। তারা মনে করেন দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ছাড়া এ বন্দরের গতি ফেরানো সম্ভব না।

    বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য মতে, এই বন্দর দিয়ে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২ কোটি ৮৯ লাখ ২৪ হাজার ২শ’ ১৪ টাকা, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ২ কোটি ২৭ লাখ ৪৬ হাজার ২শ’ ৮১ টাকা, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ৫ কোটি ৫৬ লাখ ১৪ হাজার ৬ শ’ ১৪ টাকা ও চলতি অর্থবছওে অক্টোবর পর্যন্ত ১২ কোটি ১৯ লাখ ৭৪ হাজার নিরানব্বই টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। এছাড়াও কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ ১ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় করেছে।

    বন্দরের আমদানী রপ্তানীকারক সমিতির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, শেরপুরসহ এই বেল্টে শুঁটকি মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই বন্দর দিয়ে শুটকি, কয়লা পাথর, সুপারি, ফলমূল ও ফ্লাই অ্যাশসহ অন্যান্য পণ্যও আনতে এখানকার

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…