এইমাত্র
  • সিরাজগঞ্জে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
  • গভীর রাতে কৃষকের গরু জবাই করে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা
  • খড়ের আড়ালে চোলাই মদ পাচারের চেষ্টা, আগুন দিল জনতা
  • ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
  • ‘হাদীর উপর হামলাকারীরা সীমান্ত ব্যবহার করে পালানোর তথ্য নিশ্চিত নয়’
  • সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে এভারকেয়ার ছাড়লেন হাদি
  • বকশীগঞ্জের এক স্কুলেরই ৬৬ ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে নিরাপত্তা জোরদার
  • যমুনায় জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর, নৌ চলাচল ব্যাহত
  • আগামীকাল সাময়িক বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    কৃষি ও প্রকৃতি

    ফরিদপুরে হালি পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক

    নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম
    নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম

    ফরিদপুরে হালি পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক

    নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম

    পেঁয়াজের রাজধানী হিসেবে পরিচিত ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ফসলি জমিতে হালি পেঁয়াজের চারা রোপণের ধুম পড়েছে। শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে ভোর থেকেই মাঠে নেমে পড়ছেন কৃষক ও কৃষিশ্রমিকরা। দল বেঁধে সারিবদ্ধভাবে চলছে পেঁয়াজ রোপণের কর্মযজ্ঞ -দম ফেলার ফুরসত নেই কারও।

    সালথার কৃষকদের প্রধান অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজ। বছরের অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণে এ ফসলের ওপরই নির্ভরশীল অধিকাংশ কৃষক। তাই প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও প্রতিদিন খুব সকালে মাঠে নামছেন তারা।

    কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সালথা উপজেলায় ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হালি পেঁয়াজ চাষ হয় এই উপজেলাতেই। তবে গত মৌসুমে পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কিছু কৃষক এবার বিকল্প ফসলের দিকে ঝুঁকেছেন বলেও জানা গেছে।

    সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঠান্ডা ও কুয়াশা উপেক্ষা করে একেকটি জমিতে দুজন করে শ্রমিক ছোট হাত নাঙ্গল দিয়ে মাটির ফাঁক তৈরি করছেন। অন্যদিকে ২৫-৩০ জনের একটি দল সারিবদ্ধভাবে বসে পেঁয়াজের চারা রোপণ করছেন। পাশাপাশি আরেক দল শ্রমিক হালি পেঁয়াজের চারা উত্তোলন করে এনে জমিতে কর্মরত শ্রমিকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। চারা রোপণ শেষ হলেই শ্যালোমেশিন দিয়ে সেচ এবং প্রয়োজনীয় সার ও ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে।

    সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের পুরুরা গ্রামের কৃষক সিরাজ মোল্লা বলেন, “এবার ১৫ কেজি পেঁয়াজের বীজ বপণ করেছি। সেই চারা দিয়ে প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে হালি পেঁয়াজ রোপণ করছি। প্রতি বিঘায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম যদি এমনই থাকে, তাহলে লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। তবে আশা করছি এবার ফলন ও দাম দুটোই ভালো হবে।”

    একই উপজেলার সালথা গ্রামের কৃষক আবু মোল্লা বলেন, “আমাদের এলাকার বেশিরভাগ মানুষ পাট ও পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল। এই দুই ফসলের দাম ভালো হলে সারা বছর স্বস্তিতে থাকা যায়। গতবার পেঁয়াজে লোকসান হলেও এবার ঝুঁকি নিয়েই চাষ করছি।”

    সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন সিকদার জানান, “সালথা উপজেলা পেঁয়াজ চাষের জন্য বিখ্যাত। এ বছর এখানে ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে হালি পেঁয়াজ রোপণের কাজ চলছে। কৃষকদের সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।”

    সব মিলিয়ে সালথাজুড়ে এখন পেঁয়াজ আবাদের ব্যস্ত সময়। ভালো ফলন ও ন্যায্যমূল্যের আশায় দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…