এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে যমজ দুই বোন মেডিক্যালে চান্স পেয়েছেন।
তাদের মধ্যে ফাবিহা জামান মিহা ৮১.৭৫ নম্বর পেয়ে জাতীয় মেধায় ৮৭৩তম হয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে এবং লামিসা জামান লিহা ৭৫ নম্বর পেয়ে জাতীয় মেধায় ৪৬৭৫তম হয়ে নেত্রকোনা মেডিক্যাল কলেজে চান্স পেয়েছেন।
তাদের এই কৃতিত্বপূর্ণ অর্জনে পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।
তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার ভাটি সাভার গ্রামে। তাদের বাবা ডা. এম, কামরুজ্জামান মানিক, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থোপেডিক সার্জারি, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং মা তসলিমা বেগম লাভলী, সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, রসায়ন বিভাগ, নাসিরাবাদ কলেজ, ময়মনসিংহে কর্মরত। মেধাবী এই দুই বোন বর্তমানে বাউন্ডারি রোড ময়মনসিংহে বসবাস করেন।
মিহা ও লিহা ময়মনসিংহ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ময়মনসিংহে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এসএসসি-২০২৩ পরীক্ষায় মিহা ১২৪৭ নম্বর এবং লিহা ১২৪১ নম্বর, এইচএসসি-২০২৫ পরীক্ষায় মিহা ১১৯২ এবং লিহা ১১৮৫ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
তাদের বাবা ডা. এম কামরুজ্জামান মানিক জানান, এই সাফল্য শুধু তাদের পরিবারের নয়, পুরো নান্দাইলবাসীর। তাদের এই অর্জন আশপাশের শিক্ষার্থীদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আমরা আশা করি, তারা ভবিষ্যতে মানবিক চিকিৎসক হয়ে দেশ ও দশের সেবা করবে।
তিনি আরো বলেন, ‘নিজ পেশায় ব্যস্ত থাকতে হয়। মেয়েদের সাফল্যের পেছনে তাদের কঠোর পরিশ্রম ও তাদের শিক্ষক মায়ের দিকনির্দেশনা অনেক কাজে লেগেছে। তাদের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমিও সার্বিক খোঁজ নিয়েছি।’
মিহা ও লিহার মা তসলিমা বেগম লাভলী মা বলেন, ‘মেয়েদের পরিশ্রমের সার্থকতা এসেছে, আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করি, তারা যেন তাদের মানবিক গুণগুলো আজীবন ধারণ করতে পারে।কারণ ডাক্তারি পেশায় মানবতা খুব প্রয়োজনীয়।’
মিহা তার অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। মানবিক ডাক্তার হয়ে পরিবার, দেশ ও মানুষের সেবা করতে চাই’। লিহা বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। ডাক্তার হয়ে বাবার মতো মানুষের সেবা করতে চাই।’
মিহা ও লিহার এই অসাধারণ অর্জনে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মোমেনশাহীর অধ্যক্ষ লে. কর্নেল আবু হায়াত মো. রীশাদ মোরশেদ বলেন,‘মিহা ও লিহা দুজনই একই পরিবারের যমজ বোন হয়েও এই বছর মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় মেধাস্থান অর্জন করেছে। এটি আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য এক অনন্য গৌরবের মুহূর্ত। অধ্যক্ষ হিসেবে আমি গভীর আনন্দ ও গর্ব অনুভব করছি। তাদের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে অধ্যবসায়, নিষ্ঠা ও সঠিক দিক নির্দেশনা থাকলে অসাধ্য কিছুই নয়। আমি তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।’
এসআর