এইমাত্র
  • জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য বয়কট করলো সাংবাদিকরা
  • তীব্র তাপদাহে রাতের আঁধারে ধান কাটছে কৃষক
  • ফুলবাড়ীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
  • সিরাজগঞ্জে মেলায় জাদু খেলার নামে অশ্লীল নৃত্য, আটক ৫
  • জয়পুরহাটে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
  • আরও তিনদিনের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি
  • ফুলবাড়ীতে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজে কাঁদলেন হাজারো মুসল্লি
  • পা দিয়েই সব কাজ করে ঝিনাইদহের শিশু হাসান
  • শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতি
  • ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
  • আজ বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    এক স্কুলে পড়ে ১০ জোড়া যমজ ভাই-বোন

    রবিউল এহ্সান রিপন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৩, ১২:১০ এএম
    রবিউল এহ্সান রিপন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৩, ১২:১০ এএম

    এক স্কুলে পড়ে ১০ জোড়া যমজ ভাই-বোন

    রবিউল এহ্সান রিপন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৩, ১২:১০ এএম

    ভাই-বোনের সম্পর্কগুলো সবসময় মধুর হয়৷ একসাথে বেড়ে ওঠা আর খুনসুটি করেই পার হয়ে যায় পুরো সময়। তবে সে সম্পর্ক আরো মধুর হয়ে উঠে যমজ ভাই-বোনদের ক্ষেত্রে। একই সময়ে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখা। আর জীবনের পথচলায় একই রকম দেখতে, একই ভাল লাগা আর খারাপ লাগাগুলো বেশ আকৃষ্ট করে সকলকে।

    একসাথে খাওয়া, খেলাধুলা করা ও পড়াশোনা করাসহ নিজেদের ভাল লাগার পাশাপাশি মুগ্ধতাও ছড়ায় আশপাশে। তেমনি একসাথে এক বিদ্যালয়ে ১০ জোড়া যমজ ভাই-বোন পড়াশোনা করছেন৷ একসাথে এক বিদ্যালয়ে এত যমজ ভাই-বোন পড়াশোনার বিষয়টি আলোড়ন ফেলেছে পুরো জেলাজুড়ে৷

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুলে এক সাথে বিভিন্ন শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন ২০ জন যমজ ভাই-বোন। বিদ্যালয়টির ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে তাহসিন-তাসনিম ও সান-মুন, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে কার্তিক-গণেশ, হাবিব-হাফিজ ও সুমাইয়া-সাদিয়া, অষ্টম শ্রেণিতে শুভ-সৌরভ, নবম শ্রেণিতে হাসি-খুশি ও তাহবি-তাসবি এবং দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন আবিদ-অমিত ও রাহুল রাহা- চঞ্চল রাহা যমজ ভাই বোন৷

    যমজ ভাই-বোনদের চেহারায় মিল থাকায় তাদের নিশ্চিত করতে খানিকটা বিড়ম্বনা হলেও তাদের সাথে নিয়ে বেশ উপভোগ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠীরা। দুইজন একসাথে বেড়ে ওঠাকে বেশ গর্বের সাথে দেখছেন যমজ ভাই-বোনেরা৷

    ষষ্ঠ শ্রেণিতে যমজ দুই ভাই সান ও মুন বলেন, আমরা দুই ভাই একসাথে সব কাজ করি। খাওয়া, খেলাধুলা ও স্কুলে আসা যাওয়া একসাথে করি৷ আমাদের দুজনের পছন্দ মাংস ভাত৷ শুধু দুজনের দুই রঙ পছন্দ৷ একজনের লাল আরেকজনের নীল৷ আমরা একই পোশাক পরে বিভিন্ন জায়গায় যায়৷ শুধু পোশাক না আমাদের জুতা, চশমা, প্যান্ট সব একরকম। আমাদের খুব ভালো লাগে৷ তবে অনেকজনে আমরা কে কোনটা চিনতে পারেনা। আমরা এ বিষয়টাকে আরো বেশী উপভোগ করি। আমরা দুই ভাই অনেক আনন্দ করি একসাথে। বাড়িতে একসাথে পড়তে বসি। আমাদের বাবা-মা ও পরিবার সকলে খুশি আমাদের নিয়ে৷

    সপ্তম শ্রেণির যমজ দুই বোন সুমাইয়া ও সাদিয়া বলেন, আমাদের সব কাজগুলো আমরা একসাথে করি। আমাদের দুজনের প্রিয় রঙ হল নীল৷ আমরা একসাথে স্কুলে আসি। একসাথে ক্লাশে বসি৷ টিফিনের সময় আবার একসাথে খেলাধুলা করে থাকি। সব কাজগুলো আমরা একসাথে করি৷ ক্লাসের সময় একজনকে বকা দিলে আমাদের আরেকজনকে খুব খারাপ লাগে৷ আবার কেউ যদি আমরা ভালো কিছু করি তাহলে মন থেকে ভালো লাগা কাজ করে৷ স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীরা আমাদের চিনতে পারেনা৷ তখন একসাথে দুজনকে ডাকে তখন আমাদের খুব ভালো লাগে।

    নবম শ্রেণির যমজ দুই বোন হাসি ও খুশি বলেন, আমাদের একটা বড় সুবিধা হল কেউ কোন ভুল করলে একজন আরেকজনকে চাপিয়ে দেওয়া যায়৷ পরে আবার আমরা একসাথে মিলে যাই৷ আর পরিবারের কাছে, আত্নীয় স্বজনদের কাছে ও শিক্ষকদের কাছেও আমরা বেশ আদর পাই৷ আমরা আমাদের পুরো সময়টা একসাথে কাঁটাই। আমরা জমজ হয়ে অনেক খুশি৷ পড়াশোনা করার সময় আমরা একজন আরেকজনের সহযোগিতা নেই৷ সবমিলিয়ে আমরা একজন আরেকজনের পূর্ণ পরিপূরক। একজন আরেকজন ছাড়া চলতে পারিনা। রাগারাগি হলে আবার কিছুক্ষণের মধ্যে মিলে যাই। আমরা জমজ হয়ে অনেক খুশি৷

    বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষিকা আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, যমজ বিষয়টি আমি বেশ উপভোগ করি৷ তারা যখন পাশাপাশি বসে তখন তাদের দেখতেও ভালো লাগে। তাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ অনেক বেশী। তারা যাতে ভালো কিছু করে আমরা সবসময় তাদের উৎসাহিত করি৷

    বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক মামুনুর রশিদ বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি শ্রেণীতে যমজ শিক্ষার্থী আছে৷ ক্লাশ নেওয়ার সময় একজন পড়া দিতে পারলে অপরজন খুশি হয়। আবার একজন না পারলে অপরজন মন খারাপ করে৷ তাদেরকে বুঝার কোন উপায় নেই যে কে কোনটা৷ সে কারণে একজনের নাম আরেকজনকে বলতে হয়৷ তবে তারা বেশ মেধাবী৷ আমরা আশা রাখছি তারা তাদের কর্মজীবনে ভালো কিছু করবেন৷

    মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে ২০ জন যমজ ভাই-বোন পড়াশোনা করেন৷ তাদের নামগুলো প্রায় একই রকম ও চেহারার মিলও দেখা যায়। সে কারণে কোনটা কে সেটা বুঝতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তবুও আমরা যমজ বিষয়টি বেশ উপভোগ করছি৷ এ ছাড়াও আমি লক্ষ করেছি তাদের মেধাও প্রায় সমান হয়৷ একজনের শ্রেণির রোল নাম্বার দুই হলে অপরজনের তিন হয়। তাদের আচার-আচরণ, পোশাক পরিচ্ছদ একই রকম৷ তারা একসাথে থাকতে বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। আর আমরাও বিষয়টি উপভোগ করি।

    আরইআর/আরআই

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…