ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিন জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে হয়েছে 'সুড়ঙ্গ' সিনেমার মহরত। এই সিনেমার মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় হাজির হতে চলেছেন হালের ক্রেজ আফরান নিশো। তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জা। বর্তমান বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অভিনেত্রী। ওটিটিতে তিনি এখন আলোচিত নাম।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয় 'সুড়ঙ্গ' সিনেমার শুটিং। ওটিটি, টিভি, ইউটিউব নানান মাধ্যমের বিভিন্ন কনটেন্টের জন্য বহুবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন নিশো। তবে বড় পর্দায় এবারই প্রথম।

শুটিংয়ের অনুভূতি প্রসঙ্গে নিশো বলেন, 'অবশ্যই অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করছে। এটা আমার প্রথম সিনেমা। সিলেট সুনামগঞ্জের দুর্গম এলাকায় আমরা সবাই মিলে প্রায় ১০দিন শুট করেছি। থাকা-খাওয়ার খুব কষ্ট ছিল। আমাদের সবার অনেক পরিশ্রম হলেও প্যারফমেন্সে দর্শক উপভোগ্য, রুচিশীল, মার্জিত কিছু দেখতে পাবে।'

'সুড়ঙ্গ'র শুটিং অভিজ্ঞতা জানান তমা মির্জা। তিনি বলেন, 'অনেক বছর পর আমি এরকম কষ্ট করে শুটিং করছি। শুধু আমি না পুরা টিম শুটিং করতে গিয়ে অনেক কষ্ট করেছে। তারপরও শান্তির জায়গা একটাই যে আমরা যতটুকু শুট করেছি তাতে কোনো কম্প্রমাইজ করিনি। যাই হোক না কেনো দিন শেষে কাজটা যে ভালো হচ্ছে এটাই আমাদের পাওয়া।'

এই সিনেমার তার চরিত্র সম্পর্কে তমা আরও বলেন, 'এই সিনেমায় আমার চরিত্রটা একটু কৌশলী। পরিচালক রাফীর সাথে আমার আগে বেশ কিছু কাজ হয়েছে। তিনি কাজের প্রতি খুবই হেল্পফুল। নিশো ভাইয়ের সাথে এটা আমার প্রথম কাজ। তিনি আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন, আমার কাজটাকে আরও সহজ করে দিয়েছেন।'

পরিচালক রায়হান রাফী বলেন, 'সুড়ঙ্গ সিনেমার প্রথম লটের শুটিং শেষ করেছি আমরা। এই লটে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল লোকেশন। একদম ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অর্থাৎ রিমোট লোকেশনে শুট করেছি। সেখানে বছরের অর্ধেক সময় পানি থাকে আর বাকি সময় মাটি। সেখানে সেট বানানো, শুট করা পুরা ব্যাপারটাই ছিল কষ্টের।'

এই নির্মাতা আরও জানান, 'প্রায় ২০০ জনের টিম নিয়ে সেখানে কাজ করাটা আমার জন্য বিশাল এক চ্যালেঞ্জ। এখন আমরা দ্বিতীয় স্লট শ্যুট শুরু করবো। এইবারের শুটিং আমাদের জন্য আরও কঠিন হবে। দর্শক দেখে আনন্দ পেলে তবেই আমাদের এই কষ্ট স্বার্থক হবে।'

আরআইআর