কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেসক্রিপশন (চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র) পরিবর্তনকরতে যান এক রোগী। সেখানে ওষুধ কোম্পানির এক বিক্রয় প্রতিনিধি রোগীর প্রেসক্রিপশনের ছবি তোলেন। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে চিকিৎসক ও বিক্রয় প্রতিনিধি রোগীকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাসপাতালে গিয়ে ওই চিকিৎসককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে চিকিৎসককে মুক্ত করেন।
জানা গেছে, উপজেলার থানা হাট ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়া এলাকার মো. জাহাঙ্গীর আলম (৬১) ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে গত ২৮ মার্চ তারিখে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি ব্যবস্থাপত্র নিয়ে মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসানের কাছে যান। সেখানে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ডা. হাসান ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের বিক্রয় প্রতিনিধি আরিফের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
একপর্যায়ে ডা. হাসান ও আরিফ কক্ষের দরজা বন্ধ করে রোগী জাহাঙ্গীরেকে মারধর করতে থাকলে তার মাথা ফেটে যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাসপাতালের ওই চিকিৎসককে ১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে চিকিৎসককে মুক্ত করা হয়।
আহত রোগী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিন দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি, তবু ডায়ারিয়া আরোগ্য না হওয়ায়, ওষুধ পরিবর্তনের জন্য ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ডা. মাহমুদুল হাসানের কক্ষে যাই। সেখানে প্রবেশমাত্র গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের বিক্রয় প্রতিনিধি আরিফ আমার হাত থেকে কাগজটি কেড়ে নিয়ে ছবি তোলেন।
ব্যবস্থাপত্র কেড়ে নেওয়ার কথা জানতে চাইলে ডা. হাসান বলেন, ‘প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলেছে তো কি হয়েছে?’ বিষয়টির প্রতিবাদ করলে ডা. হাসান ও আরিফ কক্ষের দরজা বন্ধ করে আমাকে কিলঘুষি মারে এবং দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
আরআইআর