এইমাত্র
  • ফুলেল শ্রদ্ধায় জাতীয় পতাকার রূপকার শিব নারায়ণের শেষ বিদায়
  • গাইবান্ধায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • ভালোবাসার মানুষকে জীবনসঙ্গী পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
  • অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নেবে ৪৮ জন
  • পাবনায় হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু
  • উপজেলা পরিষদ নিবার্চন রাজনৈতিক নিবার্চন নয়: ইসি আলমগীর
  • খুলনায় ১২ স্বর্ণের বারসহ আটক ১
  • সোনার দাম কমেছে, আজ থেকেই কার্যকর
  • টাঙ্গাইলে টিচার্স ফাউন্ডেশনের সনদ ও বৃত্তি প্রদান
  • ইবিতে চোর সন্দেহে ২ জনকে পুলিশে সোপর্দ
  • আজ শনিবার, ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২০ এপ্রিল, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    নৈশপ্রহরী হত্যা: প্রায় দুই যুগ পর ৩ জনের যাবজ্জীবন

    মো. আব্দুল আজিজ, দিনাজপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৩, ০৪:৫২ পিএম
    মো. আব্দুল আজিজ, দিনাজপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৩, ০৪:৫২ পিএম

    নৈশপ্রহরী হত্যা: প্রায় দুই যুগ পর ৩ জনের যাবজ্জীবন

    মো. আব্দুল আজিজ, দিনাজপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৩, ০৪:৫২ পিএম

    দিনাজপুরে চিরিরবন্দরে নৈশপ্রহরী তজিম উদ্দিন হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস দেয়া হয়।

    সোমবার (২৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এই আদেশ দেন।

    দণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ সুকদেবপুর এলাকার মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে আফজাল হোসেন, একই উপজেলার উত্তর ভোলানাথপুর ছমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল লতিফ এবং একই এলাকার কাচুয়া শাহের ছেলে শামন্ডল অরফে শামসুল হক।

    অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আব্দুল কাফী নামের একজনকে খালাস দেয়া হয়।

    হত্যাকাণ্ডের শিকার তজিম উদ্দিন চিরিরবন্দর উপজেলার উত্তর ভোলানাথপুরের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন নৈশপ্রহরী ছিলেন।

    আদালত সূত্রে জানা যায়, চিরিরবন্দর উপজেলার কারেন্টহাট এলাকায় সামসদ্দিনের চাটালে নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন তজিম উদ্দিন। ১৯৯৭ সালের ৩১ জুলাই বিকেলে প্রতিদিনের মতো কাজে যান। সেদিন তিনি বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি করেন তার স্ত্রী আরজিনা। ঘটনার একদিন পর ২ আগস্ট দুপুরে মিল মালিক সামসুদ্দিন তার স্বামীর ডিউটিতে না যাওয়ার বিষয়টি জানান। পরের দিন উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের দামুয়া পুকুরে কুচুরিপানার ভেতর থেকে তজিম উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে নিহতের স্ত্রী ৬ আগস্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    মামলার রায় সূত্রে জানা গেছে, তজিম উদ্দিনকে গলা এবং পেট কেটে হত্যা করে মোখলেছার রহমান, আফজাল হোসেন, আব্দুল লতিফ ও শামসুল হক। পরে তার মরদেহ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়। এই পাচজন আসামির মধ্যে মামলা চলাকালীন সময়ে মারা যান মোখলেছার রহমান। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাকি তিনজনকে যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস প্রদান করেন বিচারক।

    এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘ সময় পর হলেও বিজ্ঞ আদালত তজিম উদ্দিন হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও নিহতের পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করছি।

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…