সাভারে আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাং দলের সদস্য হতে রাজি না হওয়ায় নাজমুল হক (১৮) নামের এক পোশাক শ্রমিককে ভাড়া বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে গ্যাং সদস্যরা।
এ ঘটনায় সোমবার (২৯ মে) দুপুরে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮-৯ জনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।
মারধরের শিকার নাজমুল হক পরিবারের সাথে জামগড়া ভূঁইয়া পাড়ায় মামুন ভূঁইয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশক কারখানায় কাজ করে।
অভিযুক্তরা হলেন- জামগড়া ভূঁইয়া পাড়ার বকুল ভূঁইয়ার ছেলে রনি ভূঁইয়া (২৭), শহিদুল (২২), কামরুল (২৪), ডিএক্স আল-আমীন (২৩), নাজমুল হাসান নাহিদ (২৫), মেহেদী (২২) সহ অজ্ঞাত আরো ৮-৯ জন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাজমুল হক দি গ্রীন সুয়েটার কাখানায় প্যাকিং অপারেটর হিসাবে কাজ করে আসছে। অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীকে তাদের সন্ত্রাসী সংগঠনের লোকজনের সাথে চলাচল করতে চাপ সৃষ্টি করে। এতে রাজি না হওয়ায় গত রোববার (২৮ মে) রাত নয়টার দিকে ভাড়া বাসার সামনে থেকে অভিযুক্তরা দা, লাঠি, লোহার রড, চাপাতি হকিষ্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নাজমুলকে তুলে নিয়ে জামগড়া প্রাইমারি স্কুল এলাকায় রনি ভূঁইয়ার ক্লাব ঘরে একঘন্টা আটকিয়ে রেখে বেধরক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
ভুক্তভোগীর বাবা আসাদুল হাবিব বলেন, ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে লোকের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি রনির ক্লাবে গিয়ে দেখি আমার ছেলেকে আটকিয়ে রেখে মারপিট করছে। দেখে এগিয়ে গিয়ে বাধা দেই। তখন নাজমুল হাসান নাহিদ ও কামরুল আমাকেও এলোপাতাড়ি চর থাপ্পর মেরে আহত করে। অভিযুক্ত সবাই আমাকে গালাগালি করে ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তাদের মারধরে আমার ছেলে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অজ্ঞান অবস্থায় ছেলেকে আমার হাতে তুলে দেয়। আমার সামনেই বিনাদোষে আমার ছেলেকে এভাবে মারলো! আমি এই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত রায় বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে আমি এখনো অভিযোগপত্র হাতে পাইনি। অভিযোগের কাগজ পেলে তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।